রপ্তানি ও রেমিটেন্সে ডলারের দর বাড়ল
নিজস্ব প্রতিবেদক : রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে ডলারের দাম এক টাকা বাড়িয়ে বিনিময় হার পুনর্নিরধারণ করেছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি।
এখন থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠালে প্রতি ডলারে পাওয়া যাবে ১০৮ টাকা। আর রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৬ টাকা পাবেন। রোববার এবিবি ও বাফেদার যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন এ সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।
বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্সের মধ্যে পার্থক্য অন্তত দুই টাকা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত হয় সভায়। মঙ্গলবার থেকে রপ্তানি আয় ১০৬ টাকা এবং রেমিটেন্স ১০৮ টাকা দরে বিনিময় করতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার ক্ষেত্রে গতবছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে খাতভিত্তিক দর র্নিধারণ করে দিচ্ছে বাফেদা ও এবিবি। এর আগে গত বছরের ৩০ জুন বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সে সময় রেমিটেন্সে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয় সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা, যা রোববারের বৈঠকে আরো এক টাকা বাড়ানো হল। পণ্য আমদানির এলসি খোলার ক্ষেত্রে ডলারের দর আগের মতই রেমিটেন্স ও রপ্তানির বিনিময় হারের গড় করে নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ গড় হারের সঙ্গে অতিরিক্ত ১ টাকা বেশি নিতে পারবে; অর্থাৎ স্প্রেড সীমা হবে ১ টাকা। এটিই আন্তঃব্যাংকে ডলারের বিনিময় দর হিসেবে ধরা হচ্ছে। এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেনসহ সংগঠনের সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। চাপে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে ও বাণিজ্য ভারসাম্য কমিয়ে এনে আমদানি ব্যয় যোগাতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়ে চলছে সরকার।
রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে কাগজ-পত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া, ব্যাংকের নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে আনলে পাঠানোর খরচ না নেওয়া, তাৎক্ষণিক আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া ও হুন্ডি বন্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে সরকার। এর মাঝেই রেমিটেন্সে ডলারের সর্বোচ্চ দর দেওয়ার ঘোষণা এল।