সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন আছে : সিইসি
এস.ইসলাম জয় : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করা কঠিন হবে।
গতকাল সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটি নির্বাচন নিয়ে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিনিধি দল। এ সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের উদ্বেগের মধ্যে সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানায় জাপা। এর প্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, লোম বাছতে কম্বল উজাড় নয়, ভালো নির্বাচন ভোটের দিন দৃশ্যমান হবে। দৃশ্যমানভাবে ভালো নির্বাচন করতে না পারলে ভোট প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সেক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন সবার দৃষ্টি জাতীয় নির্বাচনের দিকে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এখন পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা রয়েছে ও আগামীতেও থাকবে বলে আশা রয়েছে। নির্বাচন প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক হওয়া বাঞ্ছনীয়। এর মাধ্যমেই নির্বাচনে এক ধরনের ভারসাম্য গড়ে ওঠে, যার ফলে কাক্সিক্ষত অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের উদ্দেশ্য অনেকটা অর্জিত হয়ে থাকে। এটাও উনারা বলেছেন, আমরাও স্বীকার করেছি যে এটা গ্রাউন্ড রিয়েলিটি। সরকারের যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকে তবে নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে এককভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন। আমরাও স্বীকার করেছি এবং জোর দিয়ে বলেছি- আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সরকার বিদ্যমান থাকবে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা অবশ্যই প্রয়োজন হবে। আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশন এককভাবে কখনোই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবে না, যদি সংশ্লিষ্ট সবাই প্রতিদ্ব›দ্বী দলগুলো এবং একইসঙ্গে সরকারের যে প্রশাসন, পুলিশ আন্তরিকভাবে সহযোগিতা না করে। এতে নির্বাচন কমিশনের যে দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা তা সীমিত হয়ে পড়তে পারে। এটা আমরা উনাদের বলেছি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএমে সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না, এতে উনারা খুশি। তবে এতে অনেক কিছু আছে বলেছে, আমরা তা মেনে নিইনি। আমরা বলেছি, তাহলে ১৮ সালের নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি। কারণ সেটা ইভিএমে নয়, ব্যালটে হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ব্যালটে নির্বাচন হলে কোনো অনিয়ম হবে না। যেমন ১৮ সালেও হয়নি, আগামীতেও হবে না। ব্যালটে হোক আর ইভিএমে হোক আমরা চেষ্টা করবো নির্বাচন যাতে শুদ্ধ হয়।
জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ বৈঠকে অংশ নেয়। এ সময় সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, ইসি সচিব জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।