আইএমএফ দাতাগোষ্ঠী নয়, তারা উন্নয়ন সহযোগী, সুদে টাকা আনি আবার সুদে-আসলে টাকা ফেরত দেই
এস.ইসলাম জয় : পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমরা আইএমএফের ওপর নির্ভরশীল নই, তারা ঋণ দিতে কোনো শর্ত দেয়নি। তবে কিছু রিকুইয়ারমেন্ট দেয়, যেমন- ঋণে সুদ কত, কত বছরে পরিশোধ করবো- এসব।
গতকাল সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইএমএফ’র সময়কালে অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের কথা জাতীয় বাজেটে কীভাবে প্রতিফলিত হতে পারে? শীর্ষক সিপিডির নাগরিক প্ল্যাটফর্মে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আইএমএফের সঙ্গে বাজেটের সম্পর্ক কী? তারা সাইড অ্যাক্টর, বাজেট আমাদের নিজস্ব ব্যাপার। তবে আইএমএফের কিছু শর্ত থাকে। প্রয়োজনে হাত পাতি, দেওয়ার দায়িত্ব আইএমএফের। অনেকে বলে দাতাগোষ্ঠী, এ শব্দের আমি ঘোরবিরোধী। কারণ তারা উন্নয়ন সহযোগী, আমরা ঋণ নিয়ে থাকি এবং সুদ আসলে পরিশোধ করি। বাজেটে উন্নয়ন সহযোগীদের অবদান মাত্র ২ শতাংশ। দারিদ্র প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি আমাদের দরিদ্ররা বঞ্চিত। পদ্ধতিগতভাবে তারা বছরের পর বছর বঞ্চিত হচ্ছে। আমি গ্রামে যাই সরকারি মালামাল নিয়ে, এগুলো কোথায় যায় জানি না। এটা খুঁজে বের করাও কঠিন। রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ৩০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স মন্দ নয়। এটার খবর একসময় কেউ রাখতো না। ৫০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স একসময় হয়েছিল, তাই এটা নজরে আসছে। রিজার্ভ বাড়ানো নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা রিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। রেমিট্যান্স বাড়াতে প্রবাসিদের ২.৫ শতাংশ বোনাস দেওয়া হচ্ছে। যাতে তারা বৈধ পথে টাকা পাঠান কিন্তু আমরা অনেক সময় হুন্ডির সাথে পেরে উঠি না।
অনুষ্ঠানে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ অংশ নেন।