
উপকূলীয় পরিবেশ ও জীবনমান উন্নয়নে ৫ লাখ ডলার অনুদান দেবে জাতিসংঘ
সোহেল রহমান : বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্পে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা (অনুদান) দেবে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। অনুদানের পরিমাণ ৫ লাখ ৫ হাজার ডলার।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এ এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই করা হয়েছে। প্রকল্প দলিলে বাংলাদেশ-এর পক্ষে ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর পক্ষে সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডগলাস সিম্পসন সই করেন।
ইআরডি জানায়, সাসটেইনেবল ম্যানেজমেন্ট অব ফিশারিজ, মেরিন লিভিং রিসোর্সেস অ্যান্ড দেয়ার হেবিটেট্স ইন দ্য বে অব বেঙ্গল রিজিওন ফর দ্য বেনিফিট অব কোস্টাল স্টেটস অ্যান্ড কমিউনিটিজ’ শীর্ষক এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছেÑ টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বঙ্গোপসাগর ও উপক‚লবর্তী এলাকায় মৎস্য ও সামুদ্রিক প্রাণিসম্পদ এবং এদের বিচরণস্থলের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদান করা। আলোচ্য প্রকল্পগুলো কৃষি খাতে অষ্টম-পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-এর বিভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের সঙ্গে এফএও-এর কান্ট্রি প্রোগ্রামিং ফ্রেমওয়ার্ক ২০২২-২০২৬-এর আওতায় এ সহায়তা প্রদান করা হবে। প্রোগ্রামের আওতায় মূলত: অধিকতর কৃষি উৎপাদন, অধিকতর পুষ্টি, পরিবেশগত উন্নয়ন ও উন্নততর জীবনযাত্রার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মৎস্য অধিদপ্তর। একই সঙ্গে বন অধিদপ্তর প্রকল্পন বাস্তবায়নে সহযোগী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
ইআরডি জানায়, ১৯৭৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩৫৪টি প্রকল্পে কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছে এফএও। যা বৃহত্তর কৃষি খাতসহ (ফসল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) পরিবেশ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সংস্থাটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৃহত্তর কৃষি খাতে আধুনিক পদ্ধতির প্রচলন, উত্তম অনুশীলন ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
