
ক্রেতার অধিকার নিশ্চিত করতে আপসহীন কাজ করে যাবো: মনজুর শাহরিয়ার

এম এম লিংকন, দিদারুল আহসান বাবু: ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত ) মনজুর শাহরিয়ার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভেজালমুক্ত ও সঠিক পণ্য ক্রেতাদের পাইয়ে দেয়াটা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের নতুন সময়কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
মাত্র ৮৬ জন কর্মকর্তা দিয়ে সারাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বার্থে কাজ করে ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছে ভোক্তা অধিদপ্তর। ভোক্তা স্বার্থে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে আলোচনায় আসেন মনজুর শাহরিয়ার। এর আগে আড়ংয়ে অভিযান পরিচালনা করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। এই অভিযান পরিচালনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে তার সাহসিকতার প্রশংসা করেন।
বিশেষ অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামানের নির্দেশনায় মেয়াদোত্তীর্ণ ও নকল ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এছাড়া আমরা বাংলাদেশ কেমিস্ট এ্যান্ড ড্রাগিস্ট এসোসিয়েশনের সঙ্গে ভালো মানের ওষুধ সরবারাহ করতে বৈঠক করছি। আবার পোশাক ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের সমিতি ও এসোসিয়েশনের সঙ্গেও নিয়মিত বৈঠক করছি। কোরবানীর ঈদ সামনে রেখে বিভিন্ন মসলার বাজার ও দোকানে কোনো অভিযোগ ছাড়াই অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার। এক প্রশ্নের জবাবে মনজুর শাহরিয়ার বলেন, আজকের শিশু আগামীদিনের ভবিৎষত। তাই শৈশবকাল হতে তাদের মন যাতে নৈতিক ও আদর্শিক শিক্ষায় পরিপূর্ণ হয়- সে রূপরেখা তৈরি করে এগোতে চাই।বিশেষ করে শিশুদের খাদ্য পণ্য যেন উৎকৃষ্টমানের হয় সেজন্য আমরা খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে আসছি।
মনজুর শাহরিয়ারের বিশেষ অভিযানগুলোর মধ্যে রয়েছে হাইকোর্ট কতৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত ৫২টি পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান। মেয়াদোত্তীর্ণ ও নকল কসমেটিকস ও ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযান। স্বপ্ন, মিনাবাজার, নন্দনের মত সুপারশপগুলাতেও অভিযান পরিচালনা করেন তিনি। রাজধানীর চকবাজার ও মৌলবীবাজারের নকল পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালান। এছাড়া স্বাস্থ্যখাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিএসএমএমইউ, এ্যাপোলো, স্কয়ার, পপুলার, গ্রীণলাইফ এবং কমফোর্ট হাসপাতালের ক্যান্টিনে অভিযান পরিচালনা করেন। নকল পণ্য ব্যবহারের অভিযোগে দেশের স্বনামধন্য বিউটি পার্লার পারসোনাতেও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন তিনি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
