
মার্কিন ভিসানীতিতে সাধারণের সমস্যা নেই তবে এটি আত্মসম্মানের দিক থেকে শিষ্টাচার বর্হিভূত

বিশ্বজিৎ দত্ত : বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের করা নতুন ভিসানীতির সমালোচনা করেছেন অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত ও এমএম আকাশ। গতকাল এ বিষয়ে ড. বারকাত বলেন, আমেরিকার নতুন ভিসা নীতির কারণে সাধারণ মানুষের কোন সমস্যা হবে না। আসলে এতে কার অসুবিধা হবে তাও বোঝতে পারছিনা। তবে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষের আমেরিকান ভিসার দরকার নেই। তাদের এ বিষয়ে কোন অসুবিধাও নেই।
ড. এমএম আকাশ বলেন, জাতীয় আত্মস্মানের জায়গা থেকে যদি বলি আমেরিকার ভিসার শর্ত পরিবর্তন এটি শিষ্ঠাচার বর্হিভ‚ত পদক্ষেপ। এটি আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত শিষ্ঠাচারের মধ্যে পড়ে না। গত ট্রাম্প ও বাইডেনের নির্বাচনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এটি আমার কথা না যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্টজনরাই বলেছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা মোকাদ্দমাও হয়েছে। আমরাকি তাদের বিষয়ে কোন কথা বলেছি। সেখানকার নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা রাজনীতিবিদদের তো বাংলাদেশের ভিসার নতুন শর্তজুরে দেয়া উচিত ছিল।এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত নির্বাচনে বাংলাদেশি কিছু লোকও জড়িত ছিল তাদেরও বাংলাদেশের ভিসা বাতিল করা দরকার ছিল। ( হিলারি ক্লিনটন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকার সময়ে ড.ইউনূস ক্লিনটন গোলাবাল ইনিশিয়েটিভ ও ক্লিনটন ফাউন্ডেশানে যথাক্রমে আড়াইলাখ ও ৫০ হাজার ডলার অনুদান দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ট্রাম্প এ বিষয়টি হিলারীর নৈতিক স্খলন হিসাবে উল্লেখ করেছিল)
দ্বিতীয়ত যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার, গণতন্ত্র এসবের নামে সারা বিশ্বে যে সন্ত্রাস চালায় নিজ দেশেই তারা এসব রক্ষা করে না। তারা বছরের পর বছর কিউবার উপরে অবরোধ আরোপ করে আছে। মিথ্যা কথা বলে ইরাকের উপর আক্রমন করেছে। লাখো মানুষকে হত্যা করেছে। সেখানে তাদের মানবাধিকার লংঘন হয়না।
তৃতীয়ত আমাদের নির্বাচনে যেসব ব্যাক্তি নানা ধরনের কারসাজির আশ্রয় নিবে তারা নির্বাচরে পরে আর আমেরিকায় পালাতে পারবে না। তাদের আমরা নিজেরাই বিচার করতে পারবো। এই দিক থেকে ভাল হয়েছে। এখন সরকারেরও উচিৎহবে যারা আগে নির্বাচনে জুচ্চুরি করে আমেরিকায় পালিয়েছে তাদের বাংলাদেশি ভিসা ব্যান করে দেয়া। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার শর্ত আমাদেও একটি সুযোগ তৈরী করে দিয়েছে।
চতুর্থ কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে সাধারণ মানুষের কোন সমস্যা নাই। তাদের আমেরিকার ভিসারও দরকার নাই। বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ লোকের আমারিকার ভিসা নাই। সুতরাং তাদের উদ্বেগের কোন কারণও নাই।
