মাজহারুল ইসলাম মিচেল : প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীদের হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন এই বাজেট আমাদের ব্যবসাকে সংকুচিত করবে। সেইসঙ্গে সফটওয়্যার শিপ্লের বিকাশ বাধাগ্রস্থ হবে। বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে আমাদের অর্থনীতিকে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ চার সংগঠনের নেতারা।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশনের (বেসিস) পক্ষে সভাপতি রাসেল টি আহমেদ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, দেশীয় সফটওয়্যার উৎপাদনে শুল্ক এবং কর বৃদ্ধি পেলে সঙ্গতকারণেই সকল পর্যায়ের তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবা ব্যবহারকারীদের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। আমরা এই শুল্ক এবং কর প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি জানান, এবারের বাজেটে অপারেটিং সিস্টেম, ডেটাবেজ, ডেভেলপমেন্ট টুলস ও সিকিউরিটি সফটওয়ারের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এসব সফটওয়্যার/টুলস দেশে তৈরি হয় না। অপারেটিং সিস্টেম ও সিকিউরিটি সফটওয়্যার সকল পর্যায়ে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে ডেটাবেজ এবং ডেভেলপমেন্ট টুলস ব্যবহার করে সকল ধরনের সফওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়। তদুপরি, সফটওয়্যারের উৎপাদন ও কাস্টমাইজেশন পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) পক্ষে সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, আমরা পুরোপুরি হতাশ। বিগত বছরে যেসব পণ্যে দাম বাড়ানো হয়েছিল সেগুলো একই রকম আছে। একটুও পরিবর্তিত হয়নি। উপরন্তু টোনারের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় সম্পূর্ণরুপে ব্যহত হবে।
বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) কোম্পানীর মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর মহসচিব তৌহিদ হোসাইন বলেন, বিদেশি সফ্টওয়ারে যে শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে সেটা প্রত্যাহার করলে ভালো হয়। কারণ আমরা এখনো বিদেশি অপারেটিং সফ্টওয়ারের উপর নির্ভরশীল। তবে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের জন্য যে বরাদ্দকে বাড়ানো হয়েছে সেটি তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের ব্যাবসাতে প্রভাবিত করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার ই-কমার্স মার্কেট প্লেসকে স্বীকৃতি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই অর্জন ই-ক্যাবের গত তিন চার বছরের চেষ্টা।
মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে উপস্থাপন করা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে কানেকটিভিটি। সব পর্যায়ের মানুষের কানেকটিভিটি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সিম কর হ্রাস হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণে ভবিষ্যত বিনিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ন্যূনতম কর হার কমিয়ে ১ শতাংশ অথবা প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানান।