ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে বিমা থেকে গ্রাহককে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ
অর্থনীতি ডেস্ক : কোনো ব্যাংক অবসায়ন বা বন্ধ হয়ে গেলে বিমা থেকে আমানতকারীদের ২ লাখ টাকা দেওয়ার বিধান রেখে ব্যাংক আমানত বিমা আইনের সংশোধনী বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। পুরোনো আইনে ছোট-বড় সব আমানতকারী বিমার আওতায় ১ লাখ টাকা করে পাওয়ার বিধান আছে। কোনো ব্যাংক অবসায়ন বা বন্ধ হয়ে গেলে বিমা থেকে আমানতকারীদের ২ লাখ টাকা দেওয়ার বিধান রেখে ব্যাংক আমানত বিমা আইনের সংশোধনী বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
পুরোনো আইনে ছোট-বড় সব আমানতকারী বিমার আওতায় ১ লাখ টাকা করে পাওয়ার বিধান আছে। অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল আজ রোববার ব্যাংক আমানত বিমা বিল সংসদে তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলে বাংলাদেশ ব্যাংক আমানত সুরক্ষা ট্রাস্ট তহবিল করার কথা বলা হয়েছে। এই তহবিলে বিমাকৃত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত অর্থ, তহবিলের অর্থ বিনিয়োগের আয়, অবসায়িত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত অর্থ ও অন্য কোনো উপায়ে পাওয়া অর্থ থেকে এই তহবিলের ফান্ড গঠন হবে।
বিলে তহবিলের দায়ের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো বিমাকৃত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবসায়নের আদেশ দেওয়া হলে অবসায়িত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক আমানতকারীকে তার আমানতকৃত অর্থের সমপরিমাণ (সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা) অথবা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত অর্থ আমানত সুরক্ষা ট্রাস্ট তহবিল থেকে প্রদান করতে হবে। বিদ্যমান আইনে এটি আছে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা।
বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনো বিমাকৃত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়াম দিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যাংক তার কাছে রক্ষিত ওই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে সমপরিমাণ অর্থ প্রিমিয়াম বাবদ কেটে ওই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা রাখার নির্দেশ দিতে পারবে। জনগণ অনতিবিলম্বে দুর্নীতিবাজ, গণবিরোধী, ভোটের অধিকারহরণকারী, গায়ের জোরে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা এই সরকারের কবল থেকে মুক্তি চায়। মানুষ কোনোভাবে আর এই সরকারকে নিতে পারছে না। তারা সত্যিকারের একটি পরিবর্তনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে, বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, সাকিব আনোয়ার, শাহনাজ রানু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, কাজী মো. নজরুল, গনসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাচ্চু ভুঁইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, মাহবুব জামান কাদেরী, জেএসডির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বহ্ণি শিখা জামালী এবং আকবর খান উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : ডেইলি স্টার বাংলা