আব্দুর রহিম : দেশের মানুষের কাছে মৌসুমি সব ধরনের ফলের একটা কদর বরাবরই থাকে। যদি এসব ফল মৌসুমের আগেই পাওয়া যায়; চাহিদাও বেড়ে যায়।
রাজধানী ঢাকার প্রতিটি ফলের বাজারে সুগন্ধ ছড়াচ্ছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠের আম, কাঁঠাল ও লিচু, আনারসসহ বাহারি ফল। বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো দামের।পুরোপুরি মৌসুম শুরু না হলেও কাঁঠাল, লিচু, আম, আনারসে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন ফলের বাজার ঘুরলে মৌসুমি ফলের দোকানে সাধারণ মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে আম, জাম, কাঁঠাল বেশি কিনছেন তারা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম মার্কেট, যাত্রাবাড়ী এলাকায় প্রতিটি এলাকার ফলের দোকানেই ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
রিফাত নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে মৌসুমি ফল এলেই মানুষের মধ্যে ফরমালিনের আতঙ্ক ভর করে। অসাধু ও অসৎ ব্যবসায়ীরা ফলে কার্বাইড ও রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে অপরিপক্ব ফল পাকানোর পর তা বাজারে বিক্রি করেন।
যে কারণে ফল কিনতে ভয় পান ক্রেতারা। মৌসুমি ফল বাজারে এলে প্রথম দিকে দামটা একটু বেশি হয়ে থাকে, এ জন্য ভয় আরও বেশি। তিনি আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন, তাদের জন্যই আম, জাম, কাঁঠাল, লটকন, লিচু কেনেন। বাজার, রাস্তাঘাট, গলির মোড়, এলাকার দোকানগুলোয় এখন প্রায় সব ধরনের ফল পাওয়া যায়। ক্রেতা বিবেচনায় বিক্রেতারা বিভিন্ন দাম হাঁকান। এসব দোকান ঘুরে জানা গেছে, প্রতি কেজি কইতর আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়; হাড়িভাঙ্গা ১০০ থেকে ১১০; গোপালভোপ ৯০; হিমসাগর ৮০ থেকে ১০০; আম রূপালি ১০০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় জাতের আনারস প্রতি জোড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০; মাঝারি আকারের ৪০ ও ছোট আকারের ২০ টাকা। কাঁঠাল বড় আকারের প্রতিটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, মাঝারি আকারের ১৫০ থেকে ২০০ ও ছোট আকারের ৭০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমান বাজারে ১০০ টি লিচু বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। ছোট আকারের লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। জাম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা কেজি দরে। লটকন প্রতি কেজি ১৫০ টাকা। সূত্র : বাংলানিউজ