ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে চাঙ্গা রেমিট্যান্স ১৬ দিনে এসেছে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি
মাসুদ মিয়া: পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে প্রবাসী আয়ে (রেমিট্যান্স) চাঙ্গা হচ্ছে। চলতি জুন মাসের প্রতিদিন প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ৬৯৪ কোটি টাকার (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) প্রবাসী আয় আসছে দেশে। রেমিট্যান্স আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রায় দুই বিলিয়নের কাছাকাছি (১৯১ কোটি ডলারের বেশি) চলে যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, চলতি মাস জুনের প্রথম ১৬ দিনে ১১২ কোটি ৫৯ লাখ ডলার বা ১২ হাজার ২১৬ কোটি টাকার প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। রেমিট্যান্স আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রায় দুই বিলিয়নের কাছাকাছি বা ১৯১ কোটি ডলারের বেশি আসবে। আর বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২০ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এর আগে সব শেষ মে মাসের পুরো সময়ে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার এসেছিল। সে হিসাবে এখন পর্যন্ত মে মাসের চেয়ে চলতি জুন মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। এদিকে ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আনতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রবাসী আয় ব্যাংকের মাধ্যমে আনার জন্য সরকার প্রণোদনার হার ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এখন আড়াই শতাংশ করে দিচ্ছে।
ঈদের মতো উৎসবকে কেন্দ্র করে এবার প্রবাসী আরও বেশি আসবে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সামনে যেহেতু কোরবানি ঈদ, তাই ঈদ কেন্দ্র করে মাসের বাকি সময়ে আরও বেশি রেমিট্যান্স আসবে।
তাদের ভাষ্যমতে, কোরবানির ঈদে কোরবানিবাবদ এবং একই সময়ে কেনাকাটার জন্যও প্রবাসীরা নিজ পরিবারের কাছে রেমিট্যান্স পাঠাবেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে দুই বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি চলে আসবে।
জুন মাসের প্রথম ১৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২০ কোটি ৭২ লাখ ১০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ৯২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৫ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এছাড়া বিদেশিখাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৮টিতে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি খাতের বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, কমিউনিটি ব্যাংক লিমিটেড, সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি। আর বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।