আমিনুল ইসলাম : রাশিয়ায় ঢুকে পড়েছে রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনার বাহিনী। ভাগনার বাহিনীর ভয়ে পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠজনেরা মস্কো ছেড়ে সেন্ট পিটার্সবার্গে অবস্থান নিয়েছেন বলে রাশিয়ার স্থানিয় গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।
তবে ক্রেমলিন এ খবর অস্বিকার করে বলেছে, ভগনার গ্রæপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের হুমকি দেওয়ার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন প্রথমবারের মতো শনিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ভাষনে তিনি সব বাহিনীকে সংহতি বজায় রাখার আহŸান জানিয়ে বলেন, যা কিছু ঘটছে, তা বিশ্বাসঘাতকতা। এটি দেশের জনগণের পিঠে ছুরি চালানোর শামিল। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, সংকট মোকাবিলায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসময় রাশিয়ার সুরক্ষা দেওয়ারও অঙ্গীকার করেন তিনি।
উল্লেখ্য শনিবার এক অডিও বার্তায় রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন মস্কোর সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের হুমকি দেন। তিনি বলেন, তিনি এবং তার বাহিনীর ২৫ হাজার সেনা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত আছেন। রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের জন্য তারা ইউক্রেনের সীমানা পেরিয়ে রাশিয়ার রোস্তভ অন দন শহরে ঢুকে পড়েছেন এবং একটি সামরিক স্থাপনার দখল নিয়েছেন।
এদিকে শনিবার রাশিয়ার ভোরোনেজের একটি তেল শোধনাগারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা কিছু ভিডিওতে ওই তেল শোধনাগারে বিমান হামলা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। সেখানের আঞ্চলিক গর্ভনর অ্যালেক্সান্ডার গুসেভ বলেছেন, আগুন নিভাতে শতাধিক কর্মী কাজ করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের ভোরোনেজ অঞ্চলের সামরিক স্থাপনা দখলে নিয়েছে ইউক্রেনে মস্কোর পক্ষে লড়াই করে আসা ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার। এর পরপরই ভোরোনেজের একটি তেল শোধনাগারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটে। ওই অঞ্চলের গভর্নর এক বিবৃতিতে জানান, ভোরোনেজের দিমিত্রভের সড়কের একটি তেল শোধনাগারের জ্বালানি ট্যাঙ্কের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। শতাধিক দমকলকর্মী ও ৩০টি গাড়ি ঘটনাস্থলে রয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, অগ্নিকাÐের এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
ইউক্রেন-রাশিয়ার দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধ হঠাৎ করে ভিন্ন পথে ঘুরে গেছে। এতদিন রাশিয়াকে সমর্থন করা ওয়াগনার গ্রæপ হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে। রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছে তারা। ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিপক্ষে লড়াইয়ে রুশ সেনাদের সমর্থনের বদলে এবার রুশ বাহিনীর ওপরই হামলা করছে তারা।