সোহেল রহমান : স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ প্রক্রিয়াকে সহায়তা প্রদানে দেশে শিক্ষাহীন, কর্মহীন ও প্রশিক্ষণহীন তরুণদের সংখ্যা কমিয়ে আনা বিশেষত: গ্রামীণ অঞ্চলের মহিলাদের জন্য শিক্ষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়াতে নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। বিশ^ব্যাংকের অর্থায়নে ‘ইকোনমিক এক্সিলারেশন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ফর নীট’ (আর্ন) শীর্ষক এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে সাড়ে পাঁচ বছর (২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত)। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ‘যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর’।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশে ‘নীট’ (নো এডুকেশন, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং- এনইইটি) তরুণদের সংখ্যা কমিয়ে আনা ত্বরান্বিত করা হবে এবং আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে অগ্রাধিকার খাতে পর্যাপ্ত দক্ষ শ্রমশক্তি (প্রায় ৯ লাখ) তৈরি করা হবে, যাতে অর্থনৈতিক রূপান্তর এবং এলডিসি থেকে উত্তরণ প্রক্রিয়াকে সহায়তা প্রদান করা যায়। দেশের সকল জেলাতেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩ হাজার ২৪০ কোটি ঋণ দিচ্ছে বিশ^ব্যাংকের আইডিএ। অবশিষ্ট ১০৮ কোটি টাকা দেবে সরকার।
প্রকল্পের আওতায় উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেÑ বিকল্প শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা এবং এই সংক্রান্ত দক্ষতা বৃদ্ধি করা; উপার্জন নিশ্চিতকরণ এবং স্ব-কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা; ‘নীট’ যুব পুরুষ/যুব মহিলাদের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও কর্মে যোগদানের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বাড়ানো।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ‘নীট’ যুবকদের দক্ষতা উন্নয়ন একটি জাতীয় অগ্রাধিকারমূলক কাজ। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ১৩.৬.১ নং অনুচ্ছেদে যুব উন্নয়নের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে ‘নীট’ জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ আছে। অনুচ্ছেদ ১৩.৬.৪ এ ২০৩১ সালের মধ্যে ‘নীট’ জনসংখ্যার পরিমাণ ২ শতাংশে নামিয়ে আনার বিষয় উল্লেখ রয়েছে।
‘যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর’ সূত্র মতে, বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারি এবং বর্তমান আন্তর্জাতিক ভ‚-রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রহস্ত হচ্ছে। অর্থনৈতিক অবস্থার পুনরুদ্ধারে প্রশিক্ষিত যুব সমাজের ভ‚মিকা অপরিসীম। যুব সমাজের মধ্যে ‘নীট’ জনগোষ্ঠীর ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।