ঈদের ছুটির আমেজ কাটেনি ব্যাংক পাড়ায় রাজধানী সড়কগুলোর মতো ব্যাংকগুলোও ফাঁকা
মাসুদ মিয়া: টানা পাঁচ দিন পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি শেষে গতকাল রোববার খুলেছে সরকারি সব অফিস-আদালত, ব্যাংক, বীমা, শেয়ারবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবে এখনো সেই সব জায়গায় মানুষের ভিড় দেখা যায়নি। রাজধানী ঢাকার সড়কগুলোর মতো ব্যাংকগুলোও ফাঁকা ছিল। এদিকে ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদের ছুটির আমেজ কাটিয়ে এখনো মানুষ কর্মমুখর হয়নি। এ কারণে ব্যাংকের লেনদেনও আগের অবস্থায় পৌঁছায়নি। গতকাল রোববার রাজধানীর বিভিন্ন ব্যাংক পাড়া চিত্র দেখা গেছে। ব্যাংকগুলোতে কাজের চাপ কম থাকায় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন অনেকে। বাংলাদেশ ব্যাংকেরও চিত্র একই।
এবিষয়ে সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখার জেনারেল ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম বলন, ঈদের পর রোববার প্রথম দিন গ্রাহক উপস্থিতি অনেক কম ছিল। এমনি দিনে কম পক্ষে ৩০০ থেকে ৪০০ জন গ্রহক থাকলেও রোববার ৫০ জনের মতো গ্রহক এসেছে। অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে লেনদেন চলছে। অবস্থা স্বাভাবিক হতে আরও এক সপ্তাহ লেগে যাবে। কর্মী উপস্থিতি কেমন জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম জানান, সব মিলিয়ে ব্যাংকে কর্মী উপস্থিতি ১০০ শতাংশ ছিল। এবার ঈদের আগে অতিরিক্ত ছুটি ছিলো সে কারনে ঈদের পর কেউ ছুটি নেয়নি। সোনালী ব্যাংকে সেবা নিতে আসা খালেদা নামের এক গ্রাহক জানান, একটা পে-অর্ডারের চেক ছিল এটা জমা দিতে এসেছি। ঈদের আগের চেক কিন্তু ব্যস্ততার কারণে জমা দিতে পারিনি। তাই ব্যাংক খোলার প্রথম দিন এলাম জমা দিতে। ঢাকার রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা, যানজট নেই। তাই সহজেই ব্যাংকে এলাম, এখানেও ভিড় কম, এসেই কাজ শেষ করলাম। রূপালী ব্যাংকের মহাখালী শাখাতেও দেখা গেছে একই চিত্র। ব্যাংকটিতে গ্রাহক কম। দুই-একজন বিশেষ প্রয়োজনে আসছেন আবার সেবা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। মহাখালী শাখার ম্যানেজার সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সবসময় ঈদের পর লোকজন কম থাকে। ঈদে গ্রামের বাড়ি গেছেন অনেক মানুষ। তারা পর্যায়ক্রমে তারা ঢাকায় ফিরবেন। তাই কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পেতে এ সপ্তাহ লেগে যাবে। কর্মী উপস্থিতি কেমন জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন জানান, সব মিলিয়ে ব্যাংকে কর্মী উপস্থিতি ৭৫ শতাংশ ছিল।
এদিকে ত্যাগের মহিমায় সারা দেশে গত বৃহস্পতিবার পালিত হয় মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। এবার নির্বাহী আদেশে ঈদুল আজহার ছুটি এক দিন বাড়িয়ে চার দিন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ফলে ঈদ উপলক্ষ্যে ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত (মঙ্গলবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) চারদিন ছুটি ছিল। এর পরদিন ১ জুলাই সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে এবারের ঈদের ছুটি হয় পাঁচ দিন।