মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে, দু-বেলা দু-মুঠো পেট ভরে খেতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
এস.ইসলাম জয় : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনপ্রতিনিধিদের জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে হবে। জনগণ আপনাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। দলমত নির্বিশেষে জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণ করতে হবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের শাপলা হলে এক অনুষ্ঠানে এই তিন সিটির মেয়রদের শপথ বাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আপনারা জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছেন। আমি চাই জনগণের সেবক হিসেবে আপনারা সব সময় স্ব স্ব এলাকায় কাজ করবেন। আপনার এলাকার সার্বিক উন্নয়ন কীভাবে করা যায়, সে পরিকল্পনা করুন। কাজগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, মানুষের আস্থা-বিশ্বাসটা যেন অর্জন করতে পারেন সেভাবে আপনাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। আমি জানি এখানে শুধু আমার দল নয়, অন্য দলেরও অনেকে আছেন। আমি তো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আমরা কিন্তু এলাকা দেখে কাজ করি না, কে ভোট দিলো, কে দিলো না। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের জন্য আমাদের কাজ। আমাদের (জনপ্রতিনিধিদের) সেভাবে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজ কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি, ৩০ প্রকারের ওষুধ দিচ্ছি, ইনসুলিন দেওয়া শুরু করেছি। এটা কিন্তু সবার জন্য। শুধু আওয়ামী লীগের লোক পাবে, অন্য দলের লোক পাবে না তা কিন্তু না। এটা সব জনগণের জন্য। আমি যা করি জনগণের জন্য করি, জনগণের কল্যাণে করি, সেটা আপনারা নিশ্চয়ই এতদিন বুঝতে পেরেছেন। আমরা জনগণের স্বার্থেই কাজ করে যাচ্ছি। সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে মানুষের কল্যাণ করা। বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা যেন অব্যাহত থাকে, মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে, দু-বেলা দু-মুঠো পেট ভরে খেতে পারে, সবাই যেন উন্নত জীবন পায়-সেটাই আমাদের কাম্য। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনাদের কাছে এটাই আমার আবেদন থাকবে সবাই মিলে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।
পরে একই স্থানে তিন সিটির সাধারণ ওয়ার্ড এবং সংরক্ষিত নারী আসনের ১৭৭জন কাউন্সিলররাও শপথ গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে বরিশালের ৪০ জন, খুলনার ৪১ জন ও গাজীপুরের ৭৬ জন শপথ গ্রহণ করেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এসব কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাটার্য্য এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত ) ৮৭ হাজার ৮০৭ ভোট পেয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। তার একমাত্র প্রতিদ্ব›দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম পেয়েছেন মাত্র ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।
একই তারিখে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো.আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট। এদিকে গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।