৫০ টন পারমাণবিক জ্বালানি আসছে সেপ্টেম্বরে
অর্থনীতি ডেস্ক : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লির জন্য ৫০ টন নিউক্লিয়ার ফুয়েলের (পারমাণবিক জ্বালানি) চালান আগামী সেপ্টেম্বরে সরবরাহ করবে রাশিয়ার নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি রোসাটাম। ওই পরিমাণ জ্বালানি দিয়ে এক বছর উৎপাদন করতে সক্ষম হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্ল্যান্টের সর্বশেষ পরিস্থিতি দেখার জন্য জুলাই মাসে দুটি টিম বাংলাদেশ সফর করবে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
একটি সূত্র জানায়, নিউক্লিয়ার ফুয়েল সরবরাহ করার পর তা প্ল্যান্টের অভ্যন্তরে নির্ধারিত স্থানে রেখে দেওয়া হবে স্থিতিশীল হওয়ার জন্য। সরবরাহের এক বছর পর ওই ফুয়েল ব্যবহার করা যাবে। এরইমধ্যে প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, বাংলাদেশের প্রস্তুতি পরীক্ষা করার জন্য ১১ জুলাই রাশিয়ার একটি দল ঢাকায় আসবে। রোসাটামের ফার্স্ট ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল আন্দ্রে পেট্রোভের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের অধিক একটি বিশেষজ্ঞ দল রূপপুর প্ল্যান্ট পরিদর্শন করবে।
এরপর প্ল্যান্টের চ‚ড়ান্ত প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণের জন্য আগামী ৩০ জুলাই রোসাটামের ডিরেক্টর জেনারেল আলেক্সি লিখাচেভ ঢাকা সফর করবেন।
সব কিছু ঠিক থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন আলেক্সি লিখাচেভ বলে সূত্রটি উল্লেখ করে। আশা করা হচ্ছে, ৫০ টন নিউক্লিয়ার ফুয়েলের চালান সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। সব কিছু ঠিক থাকলে সমুদ্রবন্দর থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় তা রূপপুর প্ল্যান্টে নিয়ে যাওয়া হবে। এ বিষয়ে আরেকটি সূত্র জানায়, ওই চালানের সুষ্ঠু পরিবহনের জন্য একটি বৈঠক হয়েছে। ঢাকার পক্ষ থেকে অনুরোধ ছিল—সাপ্তাহিক ছুটির দিন, অর্থাৎ শুক্র অথবা শনিবার যেন চালানটি বন্দরে এসে পৌঁছায়। এর ফলে পরিবহন কিছুটা সহজ হবে। এছাড়া পরিবহনের জন্য সেনাবাহিনী এবং পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থাও থাকবে।
উল্লেখ্য, রূপপুর পাওয়ার প্ল্যান্ট বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প এবং এর খরচ নির্ধারিত হয়েছে ১২৬৩ কোটি ডলার। ৬০ বছর মেয়াদের এই বিদ্যুৎ প্রকল্পে নিউক্লিয়ার ফুয়েল ব্যবহার করা হবে, যা রাশিয়া থেকে কেনা হবে। ব্যবহারের পর এর বর্জ্য তারা ফেরত নিয়ে যাবে। প্রথম বছরের জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ টন ফুয়েলের চালানটি বিনামূল্যে সরবরাহ করবে রাশিয়া। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন