নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারত থেকে আমদানি করা মহিষের মাংস দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে ছাড়ের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই মাংস ছাড় দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও অ্যাডভোকেট রাফসান আলভী।
আইনজীবীরা জানান, ভারত থেকে আমদানি হওয়ার পর জব্দ করা মহিষের মাংসের চালান ছাড় দিতে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস কমিশনারকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এর আগে সেই মহিষের মাংস হিলি বন্দর থেকে ছাড়ের অনুমতি দিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ২৫ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করে মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। রিটকারী আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত থেকে এক টন মহিষের মাংস আমদানি করে মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এই মাংস দিয়ে চাটনি তৈরি করে দুবাইয়ে রপ্তানি করার কথা। কিন্তু গত ১০ মে হিলি স্থলবন্দরে ওই মাংস এলেও তা এখনো ছাড় দেয়নি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। মাংসের চালান ছাড় না দিতে কাস্টমসকে চিঠি দেয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। তাদের যুক্তি, বিদেশ থেকে মাংস আমদানি করতে হলে আগে তাদের কাছে অনুমোদন নিতে হয়।
তবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেডলাইফ বলছে, শিল্পখাতে ব্যবহারের জন্য মাংস আমদানির ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমতি নেওয়ার দরকার হয় না। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, সাভারের ভাকুর্তায় কারখানা রয়েছে মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজের। তারা এক টন মহিষ ও ২৫ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছিল। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আপত্তির কারণে ওই মাংস এখন কাস্টমসের তত্ত¡াবধানে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সংরক্ষণাগারে রয়েছে। আর পেঁয়াজ পড়ে রয়েছে হিলি বন্দরের গুদামে।