মো. আখতারুজ্জামান : আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, দেশের সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনকে বিবেচনায় নিয়ে তাদেরকে স্বল্প সুদে ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ বা বিনিয়োগ প্রদান এবং সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ইতোপূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকার একটি আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়। এই তহবিলের আকার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির স¤প্রসারণ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত ও উৎসাহিত করার মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রাকে আরও ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে এই তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালে ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তহবিল থেকে গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে সর্বনি¤œ ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন। এই ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৬ মাস। এ তহবিল থেকে ডিজিটাল মাধ্যম (ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপস, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, ই-ওয়ালেট ইত্যাদি) ব্যবহার করে তফসিলি ব্যাংক থেকে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলো ৯ শতাংশ পর্যন্ত সুদে গ্রাহকদের ৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারেন। ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপস, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা ই-ওয়ালেট সেবা ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই ঋণ বিতরণ করতে হয়।