![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)
অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগকে আমরা এতো ভয় পাই কেন?
![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/uploads/2023/07/Wasi-Mahin-400x348.jpg)
ওয়াসি মাহিন
গত মে মাসে আইএমএফের রোড ট্রান্সপোর্ট কোয়ালিটি নিয়ে করা র্যাংকিং নিয়ে লিখব লিখব করে লেখা হয়নি। ভেবেছিলাম আমাদের দেশের মিডিয়াতে আসবে। হয়তো এসেছে। কিন্তু আমার চোখে পড়েনি। আমার নজরে পড়েছিলো শ্রীলংকান একটি নিউজ যেখানে শ্রীলঙ্কার বাজে ট্রান্সপোর্ট কোয়ালিটি নিয়ে আক্ষেপ করতে দেখেছিলাম। শ্রীলংকায় সড়ক পথের গড় গতিবেগ মাত্র ৫০ কিলোমিটার। বলা হয়েছিলো, শুধু বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে তারা। আক্ষেপের বিষয় হলো বাংলাদেশে গড় গতিবেগ মাত্র ৪১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। খারাপের দিক থেকে আমরা চতুর্থ। পাহাড়ি দেশ ভুটানের গতিবেগ সব থেকে কম। তাও ৩৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ভারতে ৫৮ কিমি, পাকিস্তানে ৮৬ কিমি। এই কথা বলার কারণ হলো জনবহুল এই দেশে আমাদের সড়ক বলি, রেল বলি বা অন্যান্য অবকাঠামো বলি আমরা সেটা গড়ে তুলতে পারিনি। আমাদের এখানে যে পরিমাণ বিনিয়োগ দরকার তার অর্ধেকও করতে পারিনি।
একটা উদাহরণ দেয়া যাক। হার্ট পাম্প করে মানবদেহের প্রতিটা কোষে রক্ত পৌঁছায়। যদি কখনো এমন হয় যে হার্টের শিরা বা ধমনীতে কোলেস্টেরল জমেছে সেক্ষেত্রে রক্ত সঞ্চালনে বাধা পায় এবং বড় রকমের বিপদের সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে। সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনের জন্য সুস্থ হার্ট গুরুত্বপূর্ণ। হার্টের সঙ্গে প্রধান যেসব আর্টারি ও ভেইন রয়েছে সেগুলাতে বাধামুক্ত বা চর্বিমুক্ত রাখাটা সুস্থ দেহের রক্তসঞ্চালনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটা দেশের ক্ষেত্রেও অনেকটা এভাবে বিবেচনা করা যায়। বিশাল দেশের অর্থনীতির সঞ্চালক হলো এর নদীপথ, রেলপথ ও সড়ক যোগাযোগ। কিন্তু আর্টারি ও ভেইনগুলোতে কোলেস্টেরল জমে যেমন রক্ত সরবরাহে বাধার সৃষ্টি হয়, ঠিক তেমনি ট্রাফিক জ্যাম একটা দেশের অর্থনীতির কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে। ধরুন উত্তরাঞ্চলের কোনো এক গ্রামীণ অঞ্চলে কোনো পণ্য ভালো উৎপাদন হয়। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকবার কারণে সেই পণ্য দেশের অন্য অঞ্চলে আসতে পারে না। আবার যদি পণ্য আনতে হয়। তবে গাজীপুর, সাভারের ভয়ানক জ্যামে আটকে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হয়। পচনশীল দ্রব্য হলে পণ্য নষ্ট হয়। এই জ্যাম হলো অনেকটা কোলেস্টেরলের মতো যেটা রক্তসঞ্চালনের বাধা সৃষ্টির মতোই অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক হওয়ার ফলে বিশ্বের সবথেকে দুর্বল অবকাঠামোর ভাগিদার আমরা। প্রথমত নদী, খাল, বিলের কারণে এখানে সড়ক পথ নির্মাণে প্রচুর সেতু, কালভার্ট নির্মান করা লাগে। আর নরম নিচু মাটি ভরাট করে পথের বেজ তৈরি করতে হয়, যা সময় সাপেক্ষ্য ও আর্থিক দিক থেকেও খরুচে। কিন্তু নদীপথে যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে সেটার সুযোগ ও কম। আন্তর্জাতিক নদীর পানি প্রবাহ সরিয়ে নেওয়ায় বাংলাদেশের অধিকাংশ নদী মৃত অথবা বছরের অল্প সময়ে জীবিত ও পানিপথে চলাচলের উপযোগী থাকে। রেল একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কিন্তু এখানেও অজস্র নদী, নালা, খাল, বিলের কারণে রেলপথ সব স্থানে পৌছানো সম্ভব হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অবকাঠামোতে যে পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন ছিলো সেটা হয়নি। আর এজন্যই অবকাঠামো ঘাটতি আকাশচুম্বী হয়েছে। অপ্রতুল অবকাঠামো চাহিদা সামাল দিতে না পারায় এক অপরিকল্পিত বসবাস অনুপযোগী শহরে পরিনত হচ্ছে দেশ, যেখানে গড় গতিবেক ঢাকায় হেঁটে যাওয়ার থেকেও কম।
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং দেশের প্রতিটি কোণায় যোগাযোগ গতিময় ও সহজ করতে প্রয়োজন প্রচুর বিনিয়োগ। ভাবতে অবাক লাগে যে ঢাকা চট্টগ্রাম সড়ককে ৪ লেনে উন্নিত করবার আগে কোনো জাতীয় মহাসড়ক ৪ লেনের ছিলো না। আরও অবাক লাগে যে আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম ৪ লেন করতে গিয়ে বুঝেছি যে এদেশে এক্সপ্রেসওয়ে করা দরকার। দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে হয়েছে ঢাকা মাওয়া ভাঙা। এর আগে এদেশে এক্সেস কন্ট্রোল সড়ক ছিলো না। আরও প্যাথেটিক বিষয় হলো আমরা দেশের প্রধান সড়ককে চার লেনে উন্নিত করার চিন্তা ভাবনা করছি যেখানে সড়কগুলো ১২ লেনে করা দরকার। এক্সপ্রেসওয়ে ৮ লেন এবং দুই পাশে দুই লেনের দুটি সার্ভিস লেন। আমরা হয়তো আবার দেখব যে ৪ লেন করে কাজ হচ্ছে না। তখন প্রকল্প ব্যয় আরও বাড়িয়ে আমাদের ১২ লেনেই যেতে হবে। আমরা দেরিতে বুঝি। এটাই সমস্যা। ভারতের অবস্থা দিয়ে শুরু করি। দেশটিতে টোটাল এক্সপ্রেসওয়ে আছে ২,০৭৪.৫ কিলোমিটার। বৃহৎ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। ভারতের সব থেকে দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে পুরবাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে যেটার দৈর্ঘ্য ৩৪০.৮ কিলোমিটার। দিল্লি-মেরুত এক্সপ্রেসওয়ে ১৪ লেনের।
গ্রিনফিল্ড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের পরিকল্পনা প্রতিটা রাজ্যকে দ্রæতগতির সড়ক নেটওয়ার্কে যুক্ত করা। আরেকটা বড় প্রকল্প হলো ভারতমালা প্রকল্প। এই প্রকল্পে ভারত মোট ৮৩,৬৭৭ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করে সব রাজ্যকে জুড়ে দেবে। চিকেন নেক নিয়ে যে ভয় বা দুর্বলতা সেটাও জয় করার প্রয়াস তারা নিয়েছে। এই প্রকল্পে ৩৪, ৮০০ কিলোমিটার নির্মাণে তারা বিনিয়োগ করবে ৫.৩৫ লক্ষ কোটি রুপি। পাকিস্তান সিপিইসির মাধ্যমে তাদের অবকাঠামো দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার প্র্যয়াস পেয়েছে। প্রশ্ন হলো কোনটি প্রয়োজনীয়, আর কোনটি প্রয়োজনীয় নয় সেটার ক্ষেত্রে একটু ক্রিটিকাল থিংকিং করা যেতে পারে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ছোট দেশে জনসংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত। আর যত বেশি মানুষ ততো বেশি পরিবহন চাহিদা। আর যতো বেশি পরিবহন চাহিদা ততো বেশি বিনিয়োগ জরুরি যতক্ষণ পর্যন্ত জ্যাম বিষয়টাকে জিরোতে নামিয়ে আনা না যায়। দেশের প্রধান সড়কগুলো এত বছরেও চার লেন ছিলো না। এখন এটাকে চার লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নিত করা হচ্ছে। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের সময় ও আমাদের মাথায় আসেনি সড়কটিকে এক্সপ্রেসওয়ে করা গেলে লিড টাইম কতটা কমিয়ে আনা যেত। শুরুতে ঢাকা মাওয়ার ৩৫ কিলোমিটার হলো বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। এটার দারা বুঝা যায় যে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতার বিচারে আমরা কতোটা পিছিয়ে। আমাদের সরবরাহ ব্যাবস্থার নেটওয়ার্ক কতটা দুর্বল।
চার লেনের পরিবর্তে ন্যাশনাল হাইওয়ে গুলো ৮ লেনের করা উচিত। আর আঞ্চলিক সড়ক ৪ চার লেনের করা উচিত। এর প্রধান কারণ হলো এদেশে কিলোমিটার প্রতি মানুষের ঘনত্ব সবথেকে বেশি। আর এত মানুষের নির্বিঘœ যাতায়াত নিশ্চিতে চার লেন বেশিদিন সুফল আনতে পারবে না। এখন প্রশ্ন থেকেই যায়, আমাদের কি ঋণ বেড়ে যাবে? এতো বিনিয়োগ করলে কি আমরা দেউলিয়া হব? কিছু প্রকল্প আছে যেটা অপ্রয়োজনীয়। কিন্তু অপ্রয়জনীয় প্রকল্পের তকমা কোনো ধ্রæবক নয়। একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। বরিশাল ভোলা সেতু নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে দেশের বৃহত্তম এই সেতু করতে প্রায় ৯,৮০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসতে পারে একটি দ্বীপ জেলার পেছনে এত টাকা ব্যয় কেন করবো? এতে কি আসলেই রিটার্ন আসবে?
আবার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। শরিয়তপুর চাঁদপুর সেতু। আপাত দৃষ্টিতে এসব সেতু করে কোনো লাভ নেই। রিটার্ন আসবে না। কিন্তু চিন্তার পরিধি একটু বড় করি। যদি ভোলা সেতু করতে হয়, তবে এটা লাভজনক নয়। তবে যদি সম্পূরক প্রকল্প হাতে নিয়ে সেখানে ইকোনোমিক জোন করা যায় তবে কি হবে? অন্য জেলার তুলনায় ভোলায় পতিত জমি বেশি। আবার এখানে গ্যাস ও আছে। তাহলে এই সেতুকে কাজে লাগিয়ে এখানে শিল্পায়ন করা যেমন সম্ভব তেমনি ভোলার গ্যাস সেতুর মাধ্যনে জাতীয় গ্রিডেও সরবরাহ সম্ভব। শরিয়তপুর চাঁদপুর সেতু দক্ষিণাঞ্চলের তিন সমুদ্র বন্দরকে কানেক্টিং সেতু হিসাবে কাজে লাগানো যেতে পারে। এতে এই সেতু ঘিরে অর্থনীতির পাওয়ারহাউজে রূপ দেওয়া যাবে এই অবহেলিত অঞ্চলকে। তবে অনেক ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ সুবিধা কতটুকু পাওয়া যাবে তার চেয়ে সামগ্রিক প্রভাবটা মূখ্য হয়ে উঠে। সরকারি অর্থায়নে শুধু লাভ দেখলেও হয় না। একটা বড় জেলাকে কেন সড়ক সুবিধা দেবে না রাষ্ট্র সেটিও বিবেচ্য হয়। অবকাঠামো বিনিয়োগ নিয়ে সমালোচনার প্রধান স্থান হওয়া উচিত দুর্নীতি। অবকাঠামো নয়। আমরা যেভাবে আতকে উঠি আর ভাবি আমরা দেউলিয়া হয়ে যাব মোটেও তেমন নয়। বরং অবকাঠামো বিনিয়োগের প্রকল্প সবার নজরদারিতে থাকে। আলোচনায় থাকে। কিন্তু অবকাঠামো বাদে অন্য যেসব প্রকল্পে বাংলাদেশ ঋণ নেয় সেটা নিয়ে কেউ টু শব্দ করে না। বিশ্ব ব্যাংকের কথায় ধরুন। এরা আফ্রিকাকে যুগ যুগ ধরে অর্থ ঋণ এবং সহায়তা করে আসছে। দূর হয়েছে সেখানের দারিদ্র? না। কেন না? সেই প্রশ্নের উত্তর কেউ খুঁজবে না।
আমাদের দেশে অবকাঠামো বিনিয়োগেও পাশ্চাত্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনীহা দেখা যায়। অথচ বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের ফান্ডিংগুলো দেখলে অবাক হতে হয়। এই ধরুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প, রুরাল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প টাইপ যেসব প্রকল্প আছে সেখানে বিশ্ব ব্যাংক কোনো ভ্যাজাল করে না। এর থেকে বেনিফিট কি আসে আমরা জানি না। কী দক্ষতার উন্নয়ন হয় সেটাও জানি না। আবার ধরুন কোনো প্রকল্পের নাম দিবে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প। আদতে এর বেনিফিট কতটুকু আসলো সেটা ভাবার সময় না আসলেও ভালো একটা সংখ্যা আসে। যেমন এত লক্ষ মানুষকে ট্রেনিং দিছে। শুনতে ভালো লাগে। কিন্তু এসব ট্রেনিং এ মানুষ আসলেও শিখতে যাচ্ছে কিনা বা কতটুকু শিখছে সেটা বুঝা কঠিন। কিন্তু দিনশেষে দেখবেন বিশ্বব্যাংকের কাছে ঋণের পরিমাণ বাড়লেও সেই ঋণ নিয়ে সমালোচনার কেউ নেই। সব সমালোচনা শুরু হবে যখন দেখবেন কোনো অবকাঠামো প্রকল্প হাতে নিবেন। আর সেটা যদি চীন থেকে হয় তবে মিডিয়ায় সেটির ক্ষতি শতগুণ বেড়ে যায়। এই বিশ্বব্যাংক কিন্তু বিভিন্ন দেশকে উচ্চসুদে বন্ড ইস্যু করার বড় পরামর্শদাতা। আবার দেখবেন ঘাটতি বাজেট অর্থায়নের অংশও এরা দিবে। চীনের ভুল চীন নিজ দেশের নামে ঋণ দেয়। আমেরিকার চালাকি তারা এটা বিশ্ব ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে। আর অভ্যন্তরীণ ইস্যুতেও এসব প্রতিষ্ঠান নাক গলালে দোষ কেউ আমেরিকার দেয় না। চীন যখন অবকাঠামো বিনিয়োগ ঘাটতির জন্য অওওই প্রতিষ্ঠা করে তখনো তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ভাবখানা এমন যে আমেরিকার সমস্যা মানে বিশ্বের সব দেশের সমস্যা।
আমাদের অবকাঠামো ঘাটতি রয়েছে। এখন পিছু ফেরার সময় নয়। আমাদের রেল, নৌপথ ও সড়কের দুর্বলতা কমিয়ে আনতে হবে। দেশকে বিনিয়োগ উপযোগী করতে হবে। আর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নিতে হবে কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রæডেন্ট ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো চিহ্নিত করে মিটিগেট করতে হবে। এর বিকল্প নেই আমাদের। আমাদের দেশে ১০০ কিলোমিটার পার হতে যে সময় লাগে সেটা যেন উন্নত বিশ্বের মতো হয়। আমাদের কর্মঘণ্টা যেন বেকার নষ্ট না হয়। প্রতিটা সময় যেন এদেশের মানুষ কাজে লাগাতে পারে সেই কামনায়। লেখক: ব্যাংকারৃ
![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)