মো. আখতারুজ্জামান : অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পণ্য রপ্তানিতে উল্লম্ফন হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের থেকে আয় ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি এসেছে।
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আড়াই শতাংশ এগিয়ে থেকে জুলাইয়ে রপ্তানি থেকে মোট আয় এসেছে ৪৫৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই মাসে ৩৯৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত চলতি অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার।গত অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলার।
বুধবার সরকারি প্রতিষ্ঠান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানির প্রাথমিক তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয়ে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধির পেছনে ছিল বরাবরের মতো তৈরি পোশাক খাতের উচ্চ প্রবৃদ্ধির প্রভাব। এ খাতে ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে।
চলতি অর্থবছরে ৬২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার; তাতে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাপক ওঠানামা করার পর পণ্য রপ্তানি থেকে আয় এসেছিল ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। তবে তা ৫৮ বিলিয়ন ডলারের মোট লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ছিল। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আড়াই বিলিয়ন ডলার পিছিয়ে ছিল রপ্তানি আয়।
অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের খাতভিত্তিক রপ্তানি তথ্যে দেখা যায়, আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস তৈরি পোশাকে ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে। মোট রপ্তানি হয়েছে ৩৯৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলারের পোশাক পণ্য।
এর মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২২৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের (প্রবৃদ্ধি ২২ দশমিক ২৪ শতাংশ) এবং ওভেন পোশাক বিদেশে গেছে ১৬৮ কোটি ৭২ লাখ ডলারের (প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ)। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতের মধ্যে ৭ কোটি ২৫ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে, যেখানে প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
৯ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হলেও আগের অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে তা সামান্য কম (শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ)। আর ৬ কোটি ৫৭ লাখ ডলারের পাটপণ্য রপ্তানি হয়েছে যেখানে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ।