চীনের বাণিজ্যিক জোট আরসেপে যোগ দিবে বাংলাদেশ
আমিনুল ইসলাম : চীনের নেতৃত্বে বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যিক বøক ‘রিজিওনাল ক¤িপ্রহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপে (আরসেপ) যোগ দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা। এই বøকে যোগ দিলে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ পাঁচ বিলিয়ন ডলার বাড়বে বলে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। তাই এসব দিক বিবেচনা করে আরসেপে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্ত মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আসিয়ানসহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো আরসেপের অন্তর্ভুক্ত। ফলে বাংলাদেশের এতে সংযুক্ত থাকা যৌক্তিক হবে বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আন্ত মন্ত্রণালয় সভায় কিছু পূর্বসতর্কতাসহ আরসেপে বাংলাদেশের যোগদানের পক্ষে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারিতে ১৫ দেশের বাণিজ্যিক জোট এই আরসেপ যাত্রা শুরু করে। এই ১৫ দেশের জনসংখ্যা ২.৩ বিলিয়ন (বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ), বাজারের আকার ২৬.৩ ট্রিলিয়ন ডলার। নিয়ম অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে অন্য দেশও আরসেপে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করতে পারছে। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও হংকং বøকটিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগী ও সমপর্যায়ের দেশ ভিয়েতনাম কোন ধরনের প্রতিশ্রæতি দিয়ে আরসেপে যোগদান করেছে, সেগুলোও পর্যালোচনা করা হয়েছে গতকালের সভায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, আরসেপকে চীনের নেতৃত্বাধীন বাণিজ্যিক বøক বলা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়াও এই জোটের সদস্য। ভারতও আরসেপে যোগদানের বিষয়ে আলোচনা করে রেখেছে। দেশটি চাইলে আরসেপের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যোগ দিতে পারবে। আরসেপভুক্ত দেশগুলো নিজেদের শুল্ক কমানোর জন্য ১০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত সময় নিয়েছে। বাংলাদেশ আরসেপে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করলে আরসেপভুক্ত ১৫ দেশ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।