সোহেল রহমান : চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। এ মাসে পণ্য রপ্তানি করে ৪৫৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার আয় করেছেন উদ্যোক্তারা। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আড়াই শতাংশ ও গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিকারকরা ৩৯৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। বরাবরের মতোই তৈরি পোশাক খাতের ওপরে ভর করে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। রপ্তানির প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জুলাই মাসে পোশাক রপ্তানিতে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এই মাসে নিট ও ওভেন মিলিয়ে তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে ৩৯৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। নিট পণ্য রপ্তানি করে এসেছে ২২৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। এই খাতে প্রবৃদ্ধি ২২ দশমিক ২৪ শতাংশ।
অন্যদিকে ওভেনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং রপ্তানি আয় এসেছে ১৬৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার।
তৈরি পোশাক ছাড়াও কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৭ কোটি ২৫ লাখ ডলার। এখাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। প্লাষ্টিক পণ্যে ১৪ দশমিক ৬৪, হস্তশিল্পে ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ, পাট জাত পণ্যে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, পাদুকা পণ্যে ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৯ কোটি ৮৭ লাখ ডলার, যদিও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ। এছাড়া প্লাষ্টিক বর্জ্য, কার্পেট, সিরামিক পণ্যে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার গত অর্থবছরের মোট রপ্তানির তুলনায় ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বেশি ধরে নিয়ে ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ৬২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানিকারকরা ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে পেরেছিল। যদিও লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮ বিলিয়ন ডলার।