অর্থনীতি ডেস্ক : ঝালকাঠিতে সুগন্ধা ও বিষখালি নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ২০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে মারাত্মক জন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে বাড়ি-ঘর, রাস্তা ঘাট, ফসলের ক্ষেত, ভেসে গেছে জলাশয়ের মাছ ।
গতকাল শুক্রবার দুপুরের জোয়ারে সুগন্ধা ও বিষখালি নদীর পানি শৌলজালিয়া ও আমুয়া ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামে ঢুকে পড়ে। এছাড়া ঝালকাঠি ও নলছিটির চার গ্রামে পানি ঢোকায় ওই গ্রামগুলোর অধিকাংশ বাড়ি ঘর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা ঘাট, কৃষকের ফসলের ক্ষেত, গোয়াল ঘর তলিয়ে যায়। ভেসে যায় পুকুরের মাছ। এ সব এলাকা দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় জনজীবনে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো হচ্ছে- কাঠালিয়া উপজেলার কচুয়া, ফেরিঘাট, পূর্ব কচুয়া, শৌলজালিয়া, আমুয়া বন্দর, চরের সিকদার পাড়া, নলছিটির ভবানিপুর, সরই, ঝালকাঠি সদরের দিয়াকুল, দেউড়ি, সাচিলাপুর, চর ভাটারাকান্দা, ভাটারাকান্দা, বৈদারাপুর, রূপসিয়া, রাজাপুরের চল্লিশ কাউনিয়া, বরইয়া, চর মানকি সুন্দর, চর নিজামিয়া ও পালট।
নদী তীরবর্তী শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন জানান, বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম পানিতে ডুবে তার ইউনিয়নসহ আশেপাশের গ্রামের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তিনি বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। সূত্র : রাইজিংবিডি