বিশ্বজিৎ দত্ত : অতিমারির অভিঘাত এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে তৈরি হওয়া ক্ষত অতিক্রম করে দ্রæত ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতের অর্থনীতি। আমেরিকার প্রখ্যাত আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা মর্গ্যান স্ট্যানলি’র সা¤প্রতিক রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে। এই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে ভারত ‘ইক্যুয়াল ওয়েট’ (সমান ওজন) থেকে উন্নীত হয়েছে ওভারওয়েট (বেশি ওজন) স্তরে।
ওভারওয়েট রেটিংয়ের অর্থ হল, ভবিষ্যতে ভারতীয় অর্থনীতির বিপুল উত্থানের সম্ভাবনা দেখছেন মর্গ্যান স্ট্যানলি’র বিশেষজ্ঞেরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, স¤প্রতি আর্থিক উন্নয়নের নিরিখে আমেরিকার ট্রিপল এ তকমা ছাঁটাই করেছে ওই সংস্থাটি। পূর্বাভাস দিয়েছে, চিনে আর্থিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাব আরও বাড়ার। শি জিনপিংয়ের দেশকে নামানো হয়েছে ইক্যুয়াল ওয়েট স্তরে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে টানাপড়েনের আবহেও ভারতে জিডিপি (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) বৃদ্ধির হার ধারাবাহিক ভাবে ৬.২ শতাংশের উপরে থাকার ঘটনাকে আশাব্যঞ্জক বলা হয়েছে রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। ভারতের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির এই তড়িৎগতির উত্থানের কারণ কী?
‘মর্গ্যান স্ট্যানলি’র মতে, বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে সরকারি স্তরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী পদক্ষেপ করেছে ভারত। তা ছাড়া, বিপুল জনশক্তি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর জোরও ভারতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে বলে মত আমেরিকার ওই আর্থিক পরিষেবা সংস্থার।
প্রসঙ্গত, অতিমারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধে অনিশ্চিত হয়ে পড়া বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত যে ব্যতিক্রমী, সে কথা আগেই জানিয়েছিল, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আইএমএফ, বøæমবার্গ ইকনমিক্স-সহ বিভিন্ন আর্থিক এবং পরামর্শদাতা সংস্থা। এ বার সেই তালিকায় শামিল হল মর্গ্যান স্ট্যানলি। গত নভেম্বরে আমেরিকার ওই সংস্থা জানিয়েছিল, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত। সামনে থাকবে শুধু আমেরিকা আর চিন।