রোকনুজ্জামান মনি: জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা- এফএও জানিয়েছে, এক মাসের ব্যবধানে ভুট্টাজাতীয় খাদ্যশস্যের মূল্য সূচক কিছুটা কমেছে। এসময় সূচক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমে ১২৫ দশমিক ৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর এক বছর আগের তুলনায় তা ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ কম। তবে এসময় বেড়েছে চাল, গম, ভোজ্যতেল এবং খাদ্যপণ্যের দাম।
আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল থেকে চলতি ফসলী মৌসুমে ভুট্ট্রার সরবরাহ বৃদ্ধি এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাশার চেয়ে উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম নি¤œমুখী রয়েছে। গত জুনের তুলনায় জুলাইয়ে ভুট্টার দাম কমেছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়াও যব সরবরাহ স্থিতিশীল থাকলেও বিশ্বব্যাপী দাম কমেছে বলে এফএওর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। যা গত ৯ মাসের মধ্যে প্রথম বৃদ্ধি। এটি মূলত কৃষ্ণ সাগরীয় শস্য চুক্তি বাতিল হওয়ার কারণেই হয়েছে। এছাড়াও কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক শুষ্ক অবস্থা খাদ্যশস্যের দাম বাড়াতে ভ‚মিকা রাখছে বলে জানিয়েছে এফএও। সংস্থাটি জানায়, সকল প্রকার চালের মূল্যসূচক জুলাই মাসে ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ২০১১ সালের ন্যায় সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। এসময় ভারতের চাল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা অন্যান্য চাল রপ্তানিকারকদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করেছে। এদিকে উদ্ভিজ্জ তেলের দাম গত জুনের তুলনায় জুলাইয়ে বেড়েছে ১২ দশমিক ১ শতাংশ। ফলে এসময় সূচক বেড়ে ১২৯ দশমিক ৮ পয়েন্ট হয়েছে। টানা সাত মাস পতনের পর এসময় প্রথম দাম বৃদ্ধি পায়। কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চল ঘিরে রপ্তানিতে নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে সূর্যমুখী তেলের দাম মাস ভিত্তিক হিসাবে বেড়েছে ১৫ শতাংশ। এছাড়াও বিশ্ব বাজরে পাম তেলের দামও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে এফএওর প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে।
বিশ্ববাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামের সূচকও এক মাস আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। জুনের তুলনায় গত জুলাইয়ে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। ফলে এসময় খাদ্যপণ্যের মূল্য সূচক দাড়িয়েছে ১২৩ দশমিক ৯ পয়েন্টে। তবে এর পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৮ শতাংশ কম বলে জানিয়েছে এফএও।
সূত্র- ওয়ার্ল্ড গ্রেইন ডটকম
সম্পাদনা: মজুমদার বাবু