![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)
বাজার তদারকির অভাবে হঠাৎ আরো চড়া দামে ডিম ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্তি
![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/uploads/2023/08/image-380369-1609668284-400x225.jpg)
মাসুদ মিয়া : কারন ছাড়া রাজধানীতে আরও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। দুই দিন আগে এক ডজন ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৫০ টাকা। সেই ডিম দুই দিন ব্যবধানে ২০ টাকা ডজন বেড়ে ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ ডিমের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্তি দেখা যাচ্ছে। কোনো কারণ ছাড়াই কারসাজির মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ডিমের দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। ক্রেতারা অভিযোগ করেন, বাজার তদারকির অভাবে সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হয়ে কয়েক দিন পর পর ডিমের দাম বাড়ায়। ক্রেতারা বলেন, সরকার কোনো কিছুর দাম বাড়ালে দোকানিরা সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়িয়ে দেয়। তখন তারা চিন্তা করে না, পণ্যটি আগে কম দামে কেনা। আর সরকার কোনো পণ্যের দাম কমালে দোকানিরা সঙ্গে সঙ্গে দাম কমায় না। তখন তারা নানা ধরনের অজুহাত দেখায়। আসলে বেশি লাভের আশায় বিক্রেতারা বাজারে একধরনের অস্থিরতা তৈরি করে। আর বিড়ম্বনায় পড়ে ভোক্তারা। দাম কমলেও ভোক্তাকে বেশি টাকা দিয়েই পণ্য কিনতে হয়। অসাধু ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে ক্রেতাদের দাবি। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে । আর সুপারশপগুলোতে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। খুচরায় ছোট আকারের ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৭ টাকায়। আর একটু বড় আকারের ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায়। অন্যদিকে হাঁসের ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। আর দেশি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। এবিষয়ে বেসরকারী কোম্পানির এক কর্মকতা হাবিবুর রহমান বলেন, বাজারে সবকিছুর দামই তো চড়া। দোকানিরা যার কাছ থেকে যত বেশি দাম নেওয়া যায়, সেই চেষ্টাই করেন। আমরা যারা মধ্যম আয়ের মানুষ তাদের জীবনধারণ অনেক কষ্টের হয়ে গেছে। ডিম কিনতে কষ্ট হচ্ছে এখন অধিকাংশ নিত্যপন্যের দাম বাড়তি । সুমন নামে এক ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে একটা পণ্যের দাম কমছে তো আজ বাড়ছে। আর কোনো পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর কমছে না। সে তুলনায় আমাদের আয় বাড়ছে না, এভাবে দরদাম বাড়ায় আমাদের টিকে থাক কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই অসাধু ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
এদিন মতিঝিল কলনি বাজারে ডিম কিনতে আসেন একক্রেতা। এক ডজন ডিমের দাম ১৭০ টাকা শোনার পর তিনি বিক্রেতাকে দাম কমানোর অনুরোধ করেন। তবে বিক্রেতা সীমিত লাভের কথা উল্লেখ করে দাম কমাননি।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। বাজারে প্রতিকেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, ঢ়্যাঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর (দেশি) ৮০ থেকে ৯০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধন্দুল-চিচিংগা ৫০ টাকা, আলু ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে। জালি ৪০ টাকা পিস, লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৯০- ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৬০ থেকে ৩৬০ টাকা।
![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)