মাসুদ মিয়া : দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) রোববার প্রযুক্তিগত সমস্যা বা কারিগরি ত্রæটির ঘটনার কারণ খুঁজতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি তদন্ত কমিটি করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। অপরটি করেছে ডিএসই নিজেরা। বিএসইসির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলামকে। বিএসইসির শীর্ষ পর্যায়ের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে ডিএসইর পক্ষ থেকে গঠিত কমিটির প্রধান করা হয়েছে সংস্থাটির পরিচালক রুবাবা দৌলাকে। এ ছাড়া কমিটিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) একজন শিক্ষক ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির একজনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। নাম না প্রকাশ শর্তে ডিএসইর একজন পরিচালক বলেন, সোমবার রাতে পর্ষদ সভায় ডিএসইর আইটি বিভাগের অদক্ষতায় লেনদেনে বিঘœ ঘটছে বলে পরিচালকরা তুলে ধরেন। তারা সর্বশেষ রোববার ৬৩টি ব্রোকারেজ হাউজের ট্রেড স্যাটেলমেন্টে (লেনদেন নিষ্পত্তি) যে সমস্যা হয়েছে, সেজন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে দাবি করেন। এরপর এই ঘটনায় প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কারিগরি ত্রæটির কারণে রোববার ডিএসইর লেনদেন নিষ্পত্তিতে বড় জটিলতা দেখা দেয়। লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য সারা দিন চেষ্টা করেন ডিএসইর কর্মকর্তারা। তবে তা সম্পূর্ণ নিষ্পত্তি করতে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় লাগে। নিয়ম অনুসারে, প্রতিদিন লেনদেন শেষে তা নিষ্পত্তির জন্য শেয়ার সংক্রান্ত ডেটা বা তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে সরবরাহ করে ডিএসই। সে অনুযায়ী ব্রোকারেজ হাউজগুলো ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) মাধ্যমে লেনদেন নিষ্পত্তি করে। কিন্তু রোববার লেনদেন শেষে কারিগরি ত্রæটি দেখা দেয়। এটি নিষ্পত্তির জন্য ওইদিন সারারাত এবং সোমবার সকাল পর্যন্ত সময় লেগেছে। বিষয়টি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।