বিশ্বজিৎ দত্ত : বাংলাদেশে গত ২০ বছরে ৬০ হাজার কোটি টাকার ঋণ মুছে ফেলা (রাইট অফ)হয়েছে। তবে এই মুছে যাওয়া অর্থ থেকেও ১৭ হাজার হাজার ৪০ কোটি টাকার ঋণ ফেরত পাওয়া গেছে। এই হিসাবে দেশে মোট ঋণ মোছা হয়েছে ৪৩ হাজার ৩৬০ কোটি টাকার। অন্যদিকে গত ৯ বছরে ভারতের ব্যাংকগুলো থেকে মোছা হয়েছে সাড়ে ১৪ লক্ষ কোটির ঋণ। ভারতের এই তথ্যটি সংসদে এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভাগবত কারাড উল্লেখ করেছেন। কারাড জানান, ২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩-এর মার্চ পর্যন্ত মুছে দেওয়া ঋণের মধ্যে ২ লাখ ৪ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে ব্যাংকগুলো। অর্থাৎ, ১৪ শতাংশ ফেরানো গিয়েছে। এই হার নিয়েও সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মুছে দেওয়া নিট ঋণ (মুছে দেওয়া ঋণ এবং তার মধ্যে উদ্ধার হওয়া অংশের ফারাক) ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ২০০৩ সালে প্রথম রাইট অফ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এক্ষেত্রে সরকারের উদ্দেশ্য ছিল ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সাবেক অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন জানান, যে উদ্দেশ্য নিয়ে ঋণ রাইট অফ করা হয়েছিল। তা আসলে বাস্তবায়িত হয়নি।
বংরচ খেলাটি ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার রাইট অফ করা ঋণের মধ্যে যারা কিছু ঋণ ফেরত দিয়েছেন তারা ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতা। বড়রা কোন টাকা ফেরত দেয়নি। বরংচ তারা এর সুযোগ নিয়েছে।