মেহেদী হাসান মুরাদ : সৌদি আরবে উৎপাদন কার্যক্রম গত বছরের একই মাসের তুলনায় চলতি বছরের জুন মাসে ১০ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশেটির সরকারী এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
দেশটির সরকারী কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যানের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের একই মাসে এক দশমকি ৬ শতাংশ থেকে চালতি বছরের জুন মাসে উৎপাদ সূচক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালের জুন মাসে দেশটির খনি ও খনন কার্যক্রম কমেছে। যা এই খাতের সূচককে নি¤œমূখী করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির জিএএসটিএটিঅ।
রিয়াদের রিদানিয়াহ অঞ্চলটি অবস্থিত সৌদি রাজধানীতে। সেখানে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার অঞ্চলজুড়ে জিঙ্ক ও রৌপ্য সঞ্চিত রয়েছে। অন্যদিকে আসিরের মুহাদ্দাদ অঞ্চলের ১৩৯ কিলোমিটার অঞ্চলজুড়ে সঞ্চিত রয়েছে কপার, জিঙ্ক, লেড ও স্বর্ণ। স¤প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এভাবেই খনিজ খাতের উন্নয়ন ও গতিশীল জাতীয় শিল্প তৈরি হবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়।
ফেব্রæয়ারিতে মন্ত্রণালয় থেকে সৌদি আরবে খনিজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়। নিলামে অংশগ্রহণের আহŸানের সঙ্গে দেয়া হয় পাঁচটি পূর্বশর্ত। তখন থেকেই আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে আছে এটি। এর আগে ২০২২ সালে সৌদি আরব দুটি প্রধান খনিজ উত্তোলন প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করে। সেপ্টেম্বরের দিকে খনাইগুইয়াহ ও অক্টোবরের দিকে উম্ম আদ দামার পুরস্কৃত হয়।
মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়, নিলামকারীদের আবেদন জমা দেয়ার সময়সীমা চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত। ঠিক পরের মাসেই ঘোষণা করা হবে ফল। বিজয়ী প্রতিষ্ঠানকে তিন মাসের মধ্যেই খনিজ কার্যক্রম পরিচালনার লাইসেন্স দেয়া হবে।
মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়ার আগে পাঁচটি পর্ব নির্ধারণ করে দিয়েছে। ২০২৩ সালের তৃতীয় মাত্রিক নাগাদ শেষ হবে পুরো প্রক্রিয়া। মুহাদ্দাদ ও আর রাদিনিয়াহ এর মধ্যে শেষ দিকে। যদিও উম্ম হাদিদ, বির উমক ও জাবাল সাহাবিয়াহ অঞ্চলগুলো এখনো বাকি। স¤প্রতি সৌদি আরবের সরকার দেশটির খনিজ ও অন্যান্য শিল্পকে উচ্চতায় তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। গ্রহণ করেছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। স্বাভাবিকভাবেই দেশটির খনিজ খাতে অপ্রত্যাশিত উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। দেশটিতে খনিজ স্থাপনা বেড়ে ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত ৩৭৭-এ পৌঁছেছে। মোট অঞ্চলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার। গত বছর কেবল মক্কাই ৭৬টি খনিজ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। রিয়াদ ও মদিনায় প্রতিষ্ঠিত স্থাপনা যথাক্রমে ৬০টি ও ৫৩টি। বিপরীতে আসিরের স্থাপনা সংখ্যা ৩৪। সৌদি আরব অন্তত ২০ ধরনের খনিজ উপাদানের কেন্দ্র। স্বর্ণ, লৌহ, কপার, গ্রানাইট, মার্ভেল, ও অন্যান্য উপাদানের কথা বলেন মন্ত্রণালয়। এদিকে, ২০২৩ সালে জুন মাসে দেশটির বিদ্যুৎ গ্যাসের সরবারহ ২৫ শতাংশ বেড়েছে।