রাশিদ রিয়াজ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা ঠিকাদাররা ইউক্রেনের কাছে অস্ত্র বিক্রির প্রধান সুবিধাভোগী। ইউক্রেন যুদ্ধে অস্ত্র শিল্পে আধিপত্য বিস্তারের সাথে এদের আয় বেড়েছে। খবর- ডিফেন্স নিউজ
শীর্ষ ১০০ প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির আয় বেড়েছে। ২০২২ সালে, আমেরিকার শীর্ষ পাঁচটি অস্ত্র ঠিকাদারের সামরিক-সম্পর্কিত রাজস্ব আয় দাঁড়িয়েছে ১৯৬ বিলিয়ন ডলার। খবর- আরটি
এদের মধ্যে চারটি মার্কিন অস্ত্র কোম্পানি বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ সামরিক ঠিকাদারদের মধ্যে রয়েছে। কিয়েভকে প্রায় ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা সহায়তার প্রতিশ্রæতি দেওয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনের অস্ত্রের প্রধান উৎস হিসেবে আবিভর্‚ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এ বছরের প্রথমার্ধে, শীর্ষ ২৫ পশ্চিমা প্রতিরক্ষা ঠিকাদারদের আয় ১১ শতাংশ বেড়ে ২১২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের জন্য এই কোম্পানিগুলির মোট অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ ৪৪৮ বিলিয়ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে- যা গত বছরের তুলনায় ৪৭ বিলিয়ন বেশি।২০২৬ সাল নাগাদ, ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ এবং ইউরোপে পুনর্বাসনের পিছনে এই সামরিক সহায়তার পরিমাণ ২০ শতাংশ এরও বেশি বেড়ে ৫৫৪ বিলিয়ন ডলার হতে পারে, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
র্যাভেনস্টোভো মিডিয়া বলছে, পশ্চিমা প্রতিরক্ষা ঠিকাদাররা ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অস্ত্র বিক্রিতে ১৫০ বিলিয়ন বা ৩৭ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধি করবে। বিপরীতে, উন্নত দেশগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি একই সময়ের মধ্যে সেই গতির অর্ধেক হবে। আইএমএফের অনুমান যে ২০২৬ সালের মধ্যে, উন্নত দেশগুলোর মোট জিডিপি ৬৭.৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে। ২০২১ সালে তা ছিল ৫৬.৬ ট্রিলিয়ন ডলার।