ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ২৩.২৬ বিলিয়ন ডলার
মো. আখতারুজ্জামান : বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় দেশের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। কৃচ্ছসাধন করেও রিজার্ভের ওপর চাপ কমানো যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব মতে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ৩২৬ কোটি মার্কিন ডলার। রিজার্ভ থেকে গঠন করা বিভিন্ন তহবিলসহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৯৫৩ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ দেখানো হয়েছে, ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৯৫৩ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী দেশের এই রিজার্ভ (২৩.২৬ বিলিয়ন ডলার) দিয়ে ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
এর আগে, গত ১৩ জুলাই প্রথমবার আইএমএফের হিসাব মেনে রিজার্ভের পরিমাণ প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব মতে রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশকে দেওয়া আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের অন্যতম শর্ত ছিল বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনা। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই তা প্রকাশ করার কথা ছিল। সেই শর্তের আলোকে চলতি মাস জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এ হিসাব প্রকাশ করছে।
গত জুন মাসে আইএমএফের বিপিএম-৬ ফর্মুলা অনুযায়ী দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব গণনা অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। ইতোমধ্যে আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ।