মেহেদী হাসান মুরাদ : (১) চ্যাটজিপিটির সাহায্য নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ কর্মজীবীরা। অফিসের দরকারি কাজ শেষ করতে অনেক কর্মকর্তাই ব্যবহার করছেন এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট হচ্ছে চ্যাটজিপিটি।
(২) রয়টার্স বা ইপসোস জরিপ বলছে, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের মাধ্যমে যে কোন কাজ কাজ দ্রæত ও সহজ পদ্ধতিতে শেষ করছেন। চলতি বছরের জুলাই মাসের ১১ থেকে ১৭ তারিখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে করা হয় অনলাইন জরিপ। জরিপে দেখা যায়, প্রায় ২৮ শতাংশ মানুষ এই সেবা ব্যবহার করে থাকেন। যেখানে মাত্র ২২ শতাংশ কর্মজীবীরা বলেছেন, তাদের নিয়োগকর্তারা এটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ৬২৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক এই জরিপে অংশগ্রহণ করে।
(৩) যদিও ১০ শতাংশ চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী বলেছেন, তাদের অফিসে এআই ব্যবহারে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। আর প্রায় ২৫ শতাংশই জানেন না যে, তাদের কোম্পানি প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে কি না।
(৪) যদিও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চ্যাটজিপিটি। এতে মেধাসত্ব এবং কৌশল বা বিভিন্ন তথ্যাদি ফাঁস হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে ধারণা সংস্থাগুলোর।
(৫) চ্যাটজিপিটি ইমেলের খসড়া তৈরি, নথির সংক্ষিপ্তকরণ এবং প্রাথমিক গবেষণাসহ নানাবিধ কাজে সহায়তা করছে কর্মীদের।
(৬) গত বছরের নভেম্বরে চালু হওয়ার পর চ্যাটজিপিটি ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রæত বর্ধনশীল অ্যাপ হয়ে উঠেছে। এটি উদ্বীপনা এবং শঙ্কা উভয়ই তৈরি করেছে। তবে খাত সংশ্লিষ্টরা, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কেন না এটি ব্যবহারের সম্ভাব্য ঝুঁকি অনেক রয়েছে। সূত্র : দ্যা জাপান টাইসম