জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেশের প্রথম সবচেয়ে বড় বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু অক্টোবরে
বিশ্বজিৎ দত্ত : দেশের সর্ববৃহত বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হচ্ছে অক্টোবরে। কক্সবাজারের খুরিশকুলের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হবে ওই সময়ে। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে ১৫ থেকে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের পচিালক মুকিত আলম খান। চীনের স্ট্যাট পাওয়ার ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন ও ইয়ংলিংক কর্পোরেশন ১১৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এই বিদ্যুৎক্দ্রেটি স্থাপনা করেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২২টি বায়ুচালিত টারবাইন স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি টারবাইনের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ৩ কিলোওয়াট। টারবাইনগুলোর উচ্চতা ১১০ মিটার। এই বায়ুচালিত টারবাইগুলো চালাতে প্রতিসেকেন্ড বাতাসের প্রয়োজন পরবে ৩ মিটার। সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিসেকেন্ডে বায়ুর প্রয়োজন পরবে ৯ মিটার। বায়ুশক্তির এই বিদ্যুৎ প্রতিইউনিট পিডিবি ক্রয় করবে ১২ সেন্টে। বাণিজ্যিক উৎপাদনের দিন থেকে ১৮ বছর পিডিবি এই বিদ্যুৎ ক্রয় করবে।
দেশে বর্তমানে ২১৭১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। এরমধ্যে ২৭ শতাংশ উৎপাদন হয় প্রাকৃতিক গ্যাস তেকে ফার্নেস ওয়েল দিয়ে উৎপাদন হয় ৬ ভাগ, ২ শতাংশ আসে জল বিদ্যুৎ থেকে, ৫ শতাংশ বিদ্যুৎ ভারত থেকে আমদানি করা হয় ভারত থেকে। বায়ূ শক্তিতে কোন বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়না। দেশে প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ টার্বাইন স্থাপন হয় পেনীর মুহুরি নদীর পাের তার উৎপাদন ক্ষতা ছিল .৯ মেগাওয়াট দ্বিতীয়টি কতুবদিয়ায় এটির উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১ মেগাওয়াট। বর্তমানে দুটিই বন্ধ রয়েছে।
পাওয়ার ডিভিশনে জয়েন সেক্টেটারি নিরদ সি মÐল জানান, দেশে বর্তমানে ১২টি বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩টির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। ১০২ মেগাওয়াটের সিরাজগঞ্জে, বাগের হাটে ও চুয়াডাঙ্গায় ৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হবে ২০২৪ সালে। এ ছাড়াও চাঁদপুর সদরে ৫০ মেগাওয়াট ও ফেনীতে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মার্ণের কাজ চলছে। অনেকগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে বিদ্যুতের ইউনিট মূল্য নিয়ে দরকষাকষি চলছে। দেশে বায়ুশক্তির মাধ্যমে কি পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব এ নিয়ে ২০১৮ সালে একটি স্টাডি হয়। সেখানে দেখানো হয় দেশে শুদু মাত্র বায়ুশক্তির সাহায্যে ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।