অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশের ওষুধ যাচ্ছে ১৫০ দেশে
মো. আখতারুজ্জামান : বাংলাদেশের ওষুধের বাজার ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি। অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশীয় কোম্পানি সরবরাহ করে। পাশাপাশি ১৫০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। তবে সেই তুলনায় টাকা বা ডলার আয় কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে বাড়ানো যায় রপ্তানি আয়। গবেষণার পাশাপাশি দক্ষতা বাড়াতে বিদেশে বিনিয়োগের তাগিদও দেন তারা।
এক সময় দেশের ওষুধ শিল্পে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর। আর অভ্যন্তরীণ ওষুধের চাহিদা পূরণ হতো আমদানির মাধ্যমে। কিন্তু সময়ের আবর্তে বদলে গেছে চিত্র। বহুজাতিক প্রায় সব কোম্পানি ব্যবসা গুটিয়ে দেশ ছেড়েছে।
স্থানীয় চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধের এখন যোগান দিচ্ছে দেশীয় কোম্পানি। শুধু চাহিদা পূরণই নয় কমপক্ষে ১৫০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ।
ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের নির্বাহী পরিচালক (মার্কেটিং) ডা. ই এইচ আরেফিন আহমেদ বলেন, পৃথিবীর বড় বড় নিয়ন্ত্রক সংস্থা আমেরিকাতে ইউএস এফডিআর, ব্রিটেনে ইউকেএমএইচআরএ কিংবা ইউরোপে ইইউজিএমপিআর। বাংলাদেশে প্রথম সারির কোম্পানিগুলোর এই হাইয়েস্ট এপ্রোভালগুলোর ধারণ ক্ষমতা আছে।
তবে রপ্তানির তুলনায় আয় কম। ইপিবি বলছে, গেলো অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ১৭ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলারের ওষুধ। রফতানি বাড়াতে কাঁচামাল আমদানি সহজ করার দাবি উদ্যোক্তাদের।
ডা. ই এইচ আরেফিন আহমেদ বলেন, এখনও আমরা ওষুধের কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকি। ফ্রেড কস্ট ওঠানামা করে, বৈদেশিক মুদ্রার রেটও প্রচÐভাবে ওঠানামা করে- এগুলোর জন্য ওষুধ বাজারজাত করার ক্ষেত্রে আমরা সমস্যায় পড়ি।
রিজার্ভ বাড়াতে রপ্তানিতে বৈচিত্র আনার তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশের ড্রাগ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের ওষুধের বিষয়ে ইতিবাচক। এ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর পরামর্শ তাদের।
সাবেক গর্ভনর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান বলেন, ফার্মাসিটিক্যালসে যেটা দরকার আমাদের, এখানেও প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। স্কিলড ডেভেলপমেন্টের বাইরেও গবেষণার সুযোগ বাড়াতে হবে। আমাদের ফার্মাসিটিক্যালসে বিদেশে গিয়েও যদি কোনো শাখা করতে চায় সেক্ষেত্রে সুযোগ করে দিতে হবে।
২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত বাংলাদেশে ওষুধের বাজারের আকার ৩.৩২ বিলিয়ন ডলার। ওষুধ শিল্পের বিকাশে স্থানীয়ভাবে ইপিআই বা কাঁচামাল উৎপাদনের উপর জোড় দিচ্ছে বিশেষজ্ঞরা।