এস.ইসলাম জয় : [১] আয়কর আইন, ২০২৩ এ রিটার্ন দাখিলের জন্য সময় বৃদ্ধির কোনো বিধান রাখা হয়নি। কেননা, করদাতারা এখন যেকোনো সময় রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। কর দিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে ধারা ১৭৩ অনুযায়ী কর পরিশোধ করতে হবে এবং কর দিবস পরবর্তী সময়ে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে ধারা ১৭৪ অনুযায়ী কর পরিশোধ করতে হবে।
[২] শুধু ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত নয়, তার পরেও যেকোনো সময় রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন করদাতারা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
[৩] সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে রিটার্ন জমা বন্ধ ৩০ নভেম্বরের পর, আয়কর আইনে আরও যেসব কঠোর বিধান সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে এই চিঠি দেওয়া হয়। এনবিআরের চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই সংবাদে সাধারণ করদাতাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এতে অসম্পূর্ণ এবং অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
[৪] চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, আগামী ৩০ নভেম্বরের পরে আপনি চাইলেও আর আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিতে পারবেন না। আয়কর আইন, ২০২৩ এ এই ধরনের কোনো প্রকার বিধানের অস্তিত্ব নেই। আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী যেকোনো করদাতা যেকোনো সময় রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
[৫] এনবিআর বলছে, ধারা ১৭১ অনুযায়ী প্রত্যেক করদাতাকে কর্মদিবসের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বা এর পূর্বে রিটার্ন দাখিলের বিধান রয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে ধারা ১৭৩ অনুযায়ী কর পরিশোধের বিধান রয়েছে। তবে, কোনো করদাতা কর দিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে তিনি কর দিবস পরবর্তী যেকোনো সময়ে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন এবং ধারা ১৭৪ অনুযায়ী কর পরিশোধ করতে পারবেন।
[৬] আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৮০ অনুযায়ী কোনো করদাতা তার বকেয়া রিটার্ন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিল করতে পারবেন, যা আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ অনুযায়ী সম্ভব হতো না। অর্থাৎ করদাতা এখন যেকোনো বছরের রিটার্ন যেকোনো সময়ে দাখিল করতে পারবেন এবং তা স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিল করতে পারবেন। এতে আইনগত কোনো প্রকার বাধা নেই।