গণতন্ত্র ও উন্নয়ন সহ্য করতে না পেরে ষড়যন্ত্রে নেমেছে দেশি-বিদেশি অপশক্তি: প্রধানমন্ত্রী
মাসুদ মিয়া: [১] প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে সহ্য করতে না পেরে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে নেমেছে অপশক্তিগুলো। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে তারা মানুষ কি না?
গতকাল বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধ ও মহামারীর মধ্যেও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
[২] এছাড়া কেনা গোলামদের ক্ষমতায় বসানোর ষড়যন্ত্রের বিষয়ে জনগণকে সর্তক থাকার নির্দেশ দেন। এবং সঠিক জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। স্বাধীন বাংলাদেশে সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা। সেদিন ঘাতকের বুলেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়। ইতিহাসে এই ধরনের জঘন্য ঘটনা বাংলার মাটিতে ঘটে যায়।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, যারা আমাদের বাড়িতে উঠাবসা করেছে, খাওয়া-দাওয়া করেছে তারাই বেঈমানি করেছে- এতে কোনও সন্দেহ নেই। মোশতাক নিজে ক্ষমতায় বসে জিয়াউর রহমানকে বানালো সেনাপ্রধান। এই ঘটনার সঙ্গে জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
তিনি বলেন, মীরজাফর দুই মাসের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। মোশতাকের ভাগ্যেও সেই পরিণতি হয়েছে। [৩] একই সঙ্গে জিয়া রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান হয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় বসে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাবতেই পারিনি এরকম আঘাত আসবে। ১৩ তারিখও মা-বাবার সাথে কথা হয়। ঘটনা ঘটার পর বিদেশে রিফিউজি হয়ে থাকতে হয়েছে। আমরা আপনজন হারিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ কী হারিয়েছিল?
বাবা সারাজীবন এদেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। এদেশের মানুষকে সুখী জীবন দেবেন, তাদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা-চিকিৎসা দিয়ে উন্নত জীবন দেবেন বলে নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। [৪]যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে দেশকে উন্নত দেশের দিয়ে ধাবিত করেন, ঠিক এই সময়ে আঘাতটা আসে। খুনিরা জাতির পিতাকে হত্যা করার পর এদেশের নামই পরিবর্তন করে ফেলে। তিনি বলেন, যে ¯েøাগান দিয়ে লাখো শহিদ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, সেই জয় বাংলা নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান জিন্দাবাদ কথা ফিরিয়ে আনে। পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো, ৭ মার্চের ইতিহাস বিকৃতি করে।