
মূল্যবৃদ্ধি আসলেই দেখার কেউ নেই

সুমন মাহবুব
আমরা ‘পলকা’ বায়োপ্লাস্টিক তৈরি করি এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করে। গত মাসে ১৪০০ টাকা দাম নিল। আজকে কিনলাম ১৫৫০ টাকা দিয়ে। ১৫৫০ টাকা ১৪০০ টাকাকে ন্যায্যতা প্রদান করেনাই। ১৪০০ টাকা ১৩ লিটার বা ১৩ কেজি গ্যাসের জন্য অনেক বেশী টাকা। একটা দানবীয় লুটপাটের ভেতর আছি আমরা সাধারণ মানুষেরা। এই যে দাম বৃদ্ধি বা বেশী দাম তা শুধু গ্যাসের না। সব কিছুর। কিন্তু দেখার কেউ নাই। আসলেই কেউ নাই। এ ওর কাছে বিচার দেয়, সে তার কাছে বিচার দেয়। কিন্তু বিচার আসলে কেউ করেনা। আমার খুব কষ্ট লাগে, রাগ হয় খুব। কারণ কম টাকা দিয়ে দিনের পর দিন যে জীবন আমরা যাপন করে যাচ্ছি তা অসাধ্য সাধন করার মত। প্রতিদিন কি অসাধ্য সাধন করা যায়? টাকাগুলি কোক পেপসির ঢেকুরের মত উড়ে চলে যায়। দেশের হর্তাকর্তারা প্রতিনিয়ত উন্নয়নের যে গল্পগুলি আমাদের শোনান সেখানে জীবন যাপনের ভয়ানক ব্যয় বৃদ্ধির কথা তাদের মনে থাকেনা। দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির গতি যে তারা কমাতে পারছেন না, এটা যে রাষ্ট্র পরিচালক হিসেবে একটা ভয়ানক ব্যর্থতা সেটার কোন আত্ম-উপলব্ধি নাই কারো মধ্যে। অপরাধবোধ কাজ করেনা কারো ভেতরে। যে মানুষটা বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করতে যায় তার দফারফা করে ছেড়ে দেয় স্কুলের লোকজন। যে মানুষটা অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিতে যায় তার পকেটের দফারফা করে দেয় স্বাস্থ্য-চিকিৎসা সম্পর্কিত লোকজন। প্রত্যেকটা জায়গায় এগুলা চলছে। তাহলে রাষ্ট্রের উপস্থিতিটা কোথায় বুঝিয়ে বলবেন একটু? জনগণের কষ্টে যদি আপনার কষ্ট না আসে, অপরাধবোধ না আসে, আর্মি, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সহ এতগুলি নিরাপত্তা সংগঠনকে সাথে নিয়েও যদি খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা সহ সকল খাতের এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি
