আলী জমান
জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে,রাজনৈতিক উত্তাপ ততই বাড়ছে।সাম্প্রতিক সময়ে বারাক ওবামা,হিলারী ক্লিনটনসহ ১৬০ জনের বিবৃতি আর তার বিপরীতে দেশের আওয়ামী সমর্থক পেশাজীবীদের পাল্টা পাল্টি বক্তব্য,সেইসাথে রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের অবস্থান এখন রিজিড হয়ে গেছে।
বিএনপি তাদের পরোক্ষ জোটসঙ্গী জামাতে ইসলামি আর বামমোর্চা,গনতান্ত্রিক মঞ্চ আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন করবে না বলে- ঘোষনা দিয়েছে।
লেখক রাজনীতিক বদরুদ্দিন উমর বললেন,বিএনপির নেতৃত্বে চলমান আন্দোলন দিয়ে আ’লীগের অধীনে নির্বাচন ঠেকানো যাবে না।
কথাটা তিনি যথার্থই বলেছেন।
বিএনপি একটা দুর্বল ক্যাটাগরির রাজনৈতিক দল।তাছাড়া তাদের অতীতও সুখকর নয়।
কিছু দিন আগে জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারিকে একটা টক- শো তে বলতে শুনেছিলাম,এইটা রাজপথের যুদ্ধেই ফায়সালা হবে।সেই যুদ্ধ হবে- বিএনপি জোট ভার্সেস আওয়ামীলীগ আর র্যাব-পুলিশ বাহিনীর মধ্যে। এইখানে যারা জিতবে,তাদের রাজনৈতিক ইচ্ছাই পুরন হবে।
তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়,আওয়ামীলীগ ভাঙবে, কিন্তু মচকাবে না।কিন্তু আওয়ামী লীগের একটা দুর্বল জায়গা আছে।তা হলো- অর্থনীতি নাজুক অবস্থায়,যদিও তারা সেইটা স্বীকার করে না।এই অবস্থায় দেশের মানুষ চতুর্দিকের চাপে চিড়েচ্যাপটা হচ্ছে।
এখন সাধারন মানুষের মধ্যে প্রশ্ন-
আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ, জাতিসঙ্ঘ বা অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো যে তৎপরতা দেখাচ্ছে, তা আদতে কতটুকু বাস্তবায়ন হবে।আমার ধারনায়,খুব বেশী কিছু হবে না।নির্বাচনের আগে তারা কোন স্যাংশন দেবে না।
আওয়ামী লীগ যদি একতরফা নির্বাচন করে ফেলে,তবে লোকদেখানো কিছু স্যাংশন দেবে।তবে সেইটা গুরুতর কিছু হবে না।নিকারাগুয়া,গুয়েতেমালা,ইরান, উত্তর কোরিয়ার মত হবে না।
এবং তাই যত খারাপ নির্বাচনই হোক, স্বভাবতই তা বৈধতা পেয়ে যাবে।প্রথমে স্বীকৃতি দেবে ভারত,পরে আমেরিকাসহ অন্য দেশগুলো।যেমনটা ২০১৮ সালে হয়েছিল।
লেখক: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এসোসিয়েশনের সভাপতি