নিজস্ব প্রতিবেদক : [১] সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষি এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের পরিশ্রমী ও সৃজনশীল কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি ও সহায়তার জন্য বাংলাদেশের কৃষি এখন রপ্তানিমুখী।
[২] শনিবার দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
[৩] আমাদের কৃষি অপরাজেয় এবং সব বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। যা দরকার তা হল একটি সহায়ক ব্যবসায়িক পরিবেশ এবং উদার তহবিল। প্রয়োজনীয় সহায়ক পরিবেশ দেওয়া হলে, কৃষি একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম ভিত্তি হতে পারে।
[৪] মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষিকে বরাবরই অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপ ও পরিকল্পনায় কৃষি আমাদের কাছে বিস্ময়কর সাফল্য নিয়ে এসেছে। বিশেষ করে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত আট বছরে চাল উৎপাদন বেড়েছে ৬ মিলিয়ন টন। এই কঠিন কাজটি সম্ভব হয়েছে কৃষকদের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা, সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি, সময়মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ, কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা, ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা, ভর্তুকি মূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণসহ বিভিন্ন কৃষিবান্ধব পদক্ষেপের কারণে।
[৫] তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থানে কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টির বিকল্প নেই এবং খাদ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শিক্ষিত যুবাদের কৃষিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। আর সেটা দেশের অগ্রগতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
[৬] বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউসিবি’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান এফসিএস বলেন, আমাদের বিশেষ সিএসআর প্রকল্প দেশের কৃষি-উদ্যোক্তাদের মনে একটি ভরসার নতুন জানালা খুলে দেবে। সোনার বাংলা গড়ার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা কৃষি ও কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।
লালমনিরহাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে দিনব্যাপী কৃষি-উদ্যোক্তা সম্মেলনে লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ২৫০ জন উৎসাহী কৃষি উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।