আব্দুর রহিম : [১] জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান দাম না কমালে বড় বড় মুদি ওপর অতিরিক্ত কর আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রæডো। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন তিনি।
[২] গত বৃহস্পতিবার ওন্টারিওতে কানাডার পাঁচটি বৃহত্তম সুপারমার্কেট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ট্রæডো। এতে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালমার্ট, কস্টকোর মতো প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। এদিন ব্যবসায়ীদের আসন্ন থ্যাংকগিভিং ডে’র (২৩ নভেম্বর) আগেই দ্রব্যমূল্য বৃ্দ্িধ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পরিকল্পনা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী।
[৩] তিনি বলেছেন, যদি তাদের পরিকল্পনা মধ্যবিত্তদের জন্য বাস্তবিক উপকারে না আসে, তাহলে আমরা আরও পদক্ষেপ নেবো এবং সেক্ষেত্রে বাড়তি ট্যাক্সের মতো বিষয়গুলো উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
[৩] কানাডা সরকারের উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস-ফিলিপ শ্যাম্পেন বলেন, আমি সাফ বলে দিচ্ছি কানাডীয় নাগরিকদের খাদ্য খাতে সমাধান দরকার। আমাদের অবশ্যই ভোক্তাদের জন্য খাদ্যের দাম স্থিতিশীল করতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং আমরা তা করবো।
[৪] ট্রæডো বৃহস্পতিবার আরও বলেছেন, যখন বহু মানুষ সাধারণ চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে, তখন সুপারমার্কেটগুলোর রেকর্ড মুনাফা অর্জন স্বাভাবিক নয়। বড় মুদি প্রতিষ্ঠানগুলো রেকর্ড মুনাফা করছে। পরিবারকে খাওয়ানোর জন্য যারা সংগ্রাম করছে, তাদের পকেট কেটে এই লাভ করা উচিত নয়।
[৫] ক্রমবর্ধমান এই দামের জন্য ইউক্রেন যুদ্ধসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কারণকে দায়ী করেছেন কানাডীয় খুচরা বিক্রেতারা। তাদের বক্তব্য, খাদ্যের দাম কমানোর জন্য সরকারই আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে; যেমন- কৃষক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকারী ও পরিবেশকদের ওপর থেকে অস্থায়ীভাবে কার্বন ট্যাক্স অপসারণ করা অথবা সরকারের পরিকল্পিত প্লাস্টিক প্যাকেজিং লক্ষ্যমাত্রা বাতিল করা।