চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির আহ্বান বিজিএমইএ’র
মো. আখতারুজ্জামান : [১] বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বাংলাদেশের রপ্তানি-আমদানি খাত, বিশেষ করে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
[২] বাণিজ্য সংগঠনটি লিড টাইম কমাতে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে রপ্তানি-আমদানি কার্গো পরিচালনা করার জন্য বন্দরের দক্ষতা বাড়ানোর উপরও জোর দিয়েছে।
[৩] বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এর সঙ্গে বৈঠকে এ আহবান জানান।
[৪] সোমবার চট্টগ্রামে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এএম শফিউল করিম (খোকন), পরিচালক এম এহসানুল হক, সাবেক পরিচালকদ্বয় হেলাল উদ্দিন চৌধুরী এবং অঞ্জন শেখর দাস, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্রেড ফেয়ারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ক্যাশ ইনসেনটিভ’র চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সেলিম।
[৫] বাণিজ্য ত্বরান্বিত করতে বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ২০৩০ সালের মধ্যে পোশাক রপ্তানি থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রপ্তানি-আমদানি পণ্য পরিচালনার জন্য বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
[৬] তিনি বলেন, শিল্পের লক্ষ্য হচ্ছে বৈশ্বিক বাজারে তার রপ্তানি অংশ বাড়ানোর জন্য মৌলিক থেকে হাই-এন্ড ফ্যাশন বিভাগে যাওয়ার মাধ্যমে রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনয়ন। এই ধরনের সেগমেন্টের জন্য স্বল্পতম লিড টাইম জরুরি। এই প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসার জগতে বাজার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য লিড টাইম হ্রাস করা প্রয়োজন।
[৭] ফারুক হাসান চট্টগ্রাম বন্দরে সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে রপ্তানি-আমদানি কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।