মাসুদ মিয়া, মিজান তানজিল, পাবনা : [১]দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকারী দেশে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার সকালে বিশেষ নিরাপত্তা প্রটোকলের মধ্য দিয়ে প্রকল্প এলাকায় নেওয়া হয় জ্বালানির এ চালান। পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের জন্য পারমাণবিক জ্বালানির দ্বিতীয় চালান রূপপুর পৌঁছেছে। গতকাল সকালে বিশেষ নিরাপত্তা প্রটোকলের মধ্য দিয়ে প্রকল্প এলাকায় নেওয়া হয় জ্বালানির এ চালান।
[২]প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের জন্য ৭ চালানে ১৬৮টি আসেম্বলড ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল এ বছরের মধ্যে রূপপুরে পৌঁছাবে। প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শওকত আকবর বলেন, ‘প্রকল্পের শিডিউল অনুযায়ী ২০২৪ সালে প্রথম ইউনিটের কমিশনিং হবে। প্রথম ইউনিটের কমিশনিংয়ের জন্য ১৬৩টি আসেম্বলড ফুয়েল প্রয়োজন হবে। এজন্য ৭ চালানে ১৬৮টি আসেম্বলড ফুয়েল এ বছরের মধ্যে দেশে এসে পৌঁছাবে। [৩]এর আগে গত শুক্রবার জ্বালানির প্রথম চালান প্রকল্প এলাকায় পৌঁছায়। পারমাণবিক জ্বালানি প্রকল্প এলাকায় পৌঁছালে তা আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী আনলোড, যাচাই-বাছাই এবং পরিমাপ করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানান প্রকল্পের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। পারমাণবিক জ্বালানি পরিবহনের জন্য শুক্রবার প্রকল্প এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক জ্বালানি হস্তান্তর, উৎসবের আমেজ রূপপুরে।
[৪]পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘প্রথম চালান পরিবহনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় চালানের পরিবহনের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করা হয়।’ প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, পারমাণবিক জ্বালানি প্রকল্প এলাকায় হস্তান্তরের সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং বাংলাদেশ আনবিক শক্তি সংস্থা ও প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে রূপপুর প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশের কাছে পারমাণবিক জ্বালানির সার্টিফিকেট ও মডেল হস্তান্তর করে রাশিয়া। এর মাধ্যমে বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক শক্তি ব্যাবহারকারী দেশ হয়েছে বাংলাদেশ।