আব্দুর রহিম : [১] অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৬১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি মানুষ। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ৪০ ইসরায়েলি নিহত, ৭৫০ জনের বেশি মানুষ আহত
[২] বিমান হামলায় এত মানুষ নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফিলিস্তিনের স্থানীয় কর্মকর্তারা।
[৩] সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গাজার বিভিন্ন উঁচু ভবন থেকে ধোঁয়ার কুÐলি বের হচ্ছে।
[৪] কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান বেসামরিক ভবন লক্ষ্য করেও হামলা চালাচ্ছে। ফলে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের বিমান হামলার তীব্রতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
[৫] আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, গাজার হাসপাতালগুলো আহত ও নিহত মানুষে ভরে গেছে। সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন, সাধারণ মানুষকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়েছে।
[৬] শনিবার গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে আকস্মিক হামলা চালায়। এ সময় তারা বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে আটক করেন বা গুলি করে হত্যা করেন। এছাড়া অবৈধ বসতিস্থাপনকারী বেসামরিক অনেক মানুষকেও আটক করা হয়।
[৭] হামাসের এই হামলার পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুমকি দেন গাজা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে। তিনি ইসরায়েলিদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বলেন, এ মুহূর্তে আমি রিজার্ভ সেনাদের জড়ো করা এবং শক্তিশালী প্রতিশোধমূলক জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি, যা শত্রæরা কখনো কল্পনা করেনি। শত্রæরা এমন মূল্য দেবে যা তারা ভাবতেও পারেনি। আমি সাধারণ মানুষকে সেনাবাহিনীর নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার আহŸান জানাচ্ছি। আমরা এখন যুদ্ধে আছি এবং আমরা এ যুদ্ধে জয়ী হব। এই ভাষণের কিছু সময় পর থেকে গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। সূত্র : বিবিসি