চলতি সপ্তাহেই ডিম আমদানির প্রথম চালান দেশে আসবে : বাণিজ্যমন্ত্রী
সোহেল রহমান : [১] বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, বর্তমান ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজারে ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ১৫ কোটি ডিম আমদানির জন্য ১৫ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠান এলসি খুলেছে। আশা করছি, চলতি সপ্তাহেই ডিম আমদানির প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করবে।
[২] রোববার রাজধানীর ধানমন্ডি লেক (ডিঙ্গি) সংলগ্ন ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে চালসহ টিসিবি’র পণ্য সাশ্রয় মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
[৩] প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছেÑ রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ামুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে। দেশে এর আগে ডিম আমদানি না হওয়ায় এই সনদ পেতে আমদানিকারকদের কিছুটা সময় লাগায় ডিম আসতে দেরি হচ্ছে।
[৪] আলু আমদানির অনুমতি দেয়া হবে কি নাÑ জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশে এখনো আলু আমদানির অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেইনি। দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুত আছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। বাজার মনিটরিং চলছে। যদি দাম আরও ঊর্ধ্বগতির দিকে যায় তাহলে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে আলু আমদানির উদ্যোগ নেবে সরকার।
[৫] টিসিবি কর্তৃক সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিব-দুঃখী, অসহায় মানুষ যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে তাদের কথা বিবেচনা করে ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ড অর্থাৎ ৫ কোটি মানুষকে কমমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার নির্দেশে টিসিবি’র মাধ্যমে দেশের ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। তেল, চিনি, ডালের পাশাপাশি জুলাই থেকে চাল দেয়া শুরু হয়েছে। এ মাস থেকে পেঁয়াজ দেয়া শুরু হলো। যা আপাতত রাজধানীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। [৬] এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, টিসিবি’র কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে ১ কোটি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে। এ মাসের শেষ নাগাদ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি। এটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেরও অংশ।
[৭] বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক কারণে বেশ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। পণ্য মূল্য সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কিন্তু আমদানি পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। যে কারণে চাইলেও কমানো সম্ভব হয় না। তবে আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
[৮] অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এ সময় টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আরিফুল হাসান এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।