অর্থনীতি ডেস্ক : [১] শনিবার (২১ অক্টোবর) রাফা ক্রসিং দিয়ে প্রথম ত্রাণের ট্রাক ঢুকেছে অবরুদ্ধ গাজায়। কিন্তু যে পরিমাণ ত্রাণ উপত্যকায় ঢুকেছে, তা সেখানকার দৈনিক আমদানির মাত্র ৪ শতাংশ বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
[২] ১৬ বছর ধরে ইসরায়েলি অবরোধের শিকার গাজা উপত্যকা। ফলে চলমান সংঘাত শুরুর আগে থেকেই ২২ লাখ গাজাবাসীর জীবন নির্ভর করত ত্রাণসহায়তার ওপর। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল এ ভ‚খÐে পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়।
[৩] জাতিসংঘের কোঅর্ডিনেশন অভ হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ারস বলেছে, শনিবার গাজায় যে পরিমাণ সুপেয় পান সরবরাহ করা হয়েছে তা একদিনে মাত্র ২২ হাজার বাসিন্দাকে দেওয়া যাবে। এছাড়া যুদ্ধের আগে যে পরিমাণ ভ‚গর্ভস্থ পানি পাওয়া যেত, এখন তার মাত্র ৫ শতাংশ পাওয়া যাচ্ছে। [৪] এর ফলে গাজার অসংখ্য বাসিন্দাকে এখন দূষিত পানি পান করতে হচ্ছে। এতে অনেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের হিউম্যানিটেরিয়ান অফিস। অনেকে কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত ক‚প থেকে অতিরিক্ত লবণাক্ত পানি পান করছে। এতে কলেরার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। অন্তঃসত্ত¡া নারী ও শিশুদের জন্য উচ্চ রক্তাপ বড় উদ্বেগের বিষয়।
[৬] শনিবার গাজায় ঢোকা ২০ ট্রাক ত্রাণসহায়তার মধ্যে কোনো জ্বালানি ছিল না। অথচ হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে জ্বালানি প্রায় ফুরিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ জানিয়েছে, জ্বালানির অভাবে খাদ্য উৎপাদন, পানি পরিশোধন এবং পানি সরবরাহকারী ট্রাক বন্ধ রয়েছে। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের এইড চিফ মার্টিন গ্রিফিথস বলেছিলেন, গাজায় দিনে অন্তত ১০০ ট্রাক ত্রাণসহায়তা প্রয়োজন।