অর্থনীতি ডেস্ক : [১] গাজায় হামাসের বিভিন্ন অবকাঠামোতে হামলার লক্ষ্যে ট্যাংক নিয়ে ঢুকেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আল জাজিরার সাংবাদিক অ্যালান ফিশার জানিয়েছেন, এর আগে ইসরায়েলের পদাতিক বাহিনী ঢুকলেও ট্যাংক নিয়ে গাজায় প্রবেশের ঘটনা এবারই প্রথম।
[২] ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ট্যাংক এবং পদাতিক বাহিনী বুধবার রাতে উত্তর গাজায় প্রবেশ করেছে। ‘অনেক’ হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং সামরিক অবকাঠামো এবং ট্যাংক প্রতিরোধী ব্যবস্থাগুলো ধ্বংস করেছে। ইসরায়েলের পদাতিক ইউনিট মোট পাঁচটি। গিভাতি ব্রিগেড তারমধ্যে একটি। এই ব্রিগেডের নিয়ন্ত্রণে পারিচালিত হয়েছে বুধবার রাতের অভিযান। ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের’ প্রস্তুতির জন্য এই অভিযান চালানো হয়। [৩] অভিযান শেষে এই বাহিনী গাজা থেকে আবার ইসরায়েলে ফিরে গেছে বলেও জানানো হয়েছে। অভিযানে ইসরায়েলি সৈন্যদের হতাহতের কথা উল্লেখ করা হয়নি। [৪] সাংবাদিক অ্যালান ফিশার মন্তব্য করেন, ইসরায়েলিরা যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মধ্যে রয়েছে। গতকাল নেতানিয়াহু এবং জো বাইডেনের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। বাইডেন নেতানিয়াহুকে বন্দিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং স্থল যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে তাদের মুক্তি নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। [৫] নেতানিয়াহু উল্লেখ করেছেন, তাদের প্রস্তুতি চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে আছে এবং কখন স্থল অভিযানের জন্য তাদের বাহিনী এগিয়ে যাবে সে বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেবে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভা। অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা এখন সাত হাজার ২৮ জনে পৌঁছেছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
[৬] প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিহতদের মধ্যে দুই হাজার ৯১৩ জন শিশু। এক হাজার ৭০৯ জন নারী এবং ৩৯৭ জন বৃদ্ধ। অপরদিকে গত ০৭ অক্টোবর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে শতাধিক ফিলিস্তিনি মারা গেছে। গ্রেপ্তার হয়েছে এক হাজার ৪৫০ জনেরও বেশি। [৭] প্রায় ২০ দিন ধরে চলমান এই যুদ্ধে হামাসের হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৪০৫ জন ইসরায়েলির। নিহতদের মধ্যে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ৩০৮ জন সৈন্য ও ৫৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে। এছাড়া হামাসের অব্যাহত হামলায় ইসরায়েলে আহত হয়েছে আরও পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ।