অর্থনীতি ডেস্ক : [১] অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বড় পতন ঘটেছে। শুক্রবার গত ৬ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনি¤েœ নেমে গেছে মার্কিন কারেন্সির মূল্য। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
[২] এতে বলা হয়, গত অক্টোবরে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাশার চেয়ে কম মানুষের চাকরি হয়েছে। ফলে আগামী ডিসেম্বরে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখতে পারে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। ফলে ইউএস ডলারের বড় পতন ঘটেছে।
[৩] আলোচ্য কার্যদিবসে প্রধান ৬ বৈশ্বিক মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচক নি¤œমুখী হয়েছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। বর্তমানে তা ১০৫ দশমিক ০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর আগে যা ছিল ১০৪ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট। গত ২০ সেপ্টেম্বরের পর তা সবচেয়ে কম। দৈনিক ভিত্তিতে গত জুলাইয়ের পর সর্বাধিক দরপতনও।
[৪] সবমিলিয়ে চলতি সপ্তাহে গ্রিনব্যাকের মূল্যমান হ্রাস পেয়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। সাপ্তাহিক হিসাবেও গত জুলাইয়ের পর যা সর্বোচ্চ পতন। বিদায়ী অক্টোবরে মার্কিন মুলুকে নন-ফার্ম পে-রোল চাকরি বেড়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার। বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাসের চেয়ে যা অনেক কম। [৫] এই প্রেক্ষাপটে জাপানি মুদ্রার বিপরীতে ডলারের অবনমন ঘটেছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। প্রতি গ্রিনব্যাকের দর স্থির হয়েছে ১৪৯ দশমিক ৩১৫ ইয়েনে। গত ২ সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বনি¤œ। একই কর্মদিবসে ইউরোর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মূল মুদ্রাটির মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ১ দশমিক ০৭৩৫ ডলারে। সবমিলিয়ে সপ্তাহে যার উত্থান ঘটেছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
[৬] স্টার্লিংয়ের মান ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ। ব্রিটিশ মুদ্রাটির দাম দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ২৩৮১ ডলারে। ১ দিনে গত জানুয়ারির পর যা সবচেয়ে বেশি ঊর্ধ্বগামিতা।
[৭] নিউইয়র্কভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ল্যাজার্ডের প্রধান বাজার কৌশলবিদ রোনাল্ড টেম্পল বলেন, কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ থেকে সরে আসতে পারে ফেড। আবার সুদের হার নাও বাড়াতে পারে তারা। সাধারণত, ফেড সুদের হার কমালে কিংবা স্থিতিশীল রাখলে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলারের দাম কমে যায়। দীর্ঘমেয়াদে সেই পরিস্থিতি বজায় থাকলে মুদ্রাটির অবমূল্যায়ন ঘটতেই থাকে।