সোহেল রহমান : [১] বাজার মনিটরিংয়ের কারণেই নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছেÑ এমন দাবি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, তা না হলে আরও বেশি দাম বাড়তো।
[২] মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন দাবি করেন। [৩] বাণিজ্য সচিব বলেন, দ্রব্যমূল্য কমাতে আমরা চেষ্টা করছি। দামের বিষয়ে ডিসির নেতৃত্বে স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিংসহ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
[৪] এরপরও আমাদের কিন্তু ভরসা করতে হয় যারা বিক্রেতা, যারা বড় ব্যবসায়ী তাদের ওপরেই। কারণ প্রত্যেকটা দোকানে-দোকানে গিয়ে কিন্তু প্রতিনিয়ত আপনি পাহারা দিতে পারবেন না। সুতরাং আমরা সবাইকে, জেলা প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করেছি।
[৫] প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, তবে মৌসুমটা এমন যে, বছরের শেষ পর্যায়ে, তখন বাজারে স্টক থাকে না। কৃষকের চেয়ে মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে এই সময় পণ্য থাকে। এ কারণে এ সময়ে দাম বাড়ে।
[৬] তবে নতুন উৎপাদিত পণ্য বাজারে আসলে ডিসেম্বরের শেষের দিকে দাম কমবে, তখন নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক হতে পারে।
[৭] এর আগে আগামী একমাস হয়তো আমাদের একটু চাপের মধ্যে থাকতে হবে। যেহেতু কৃষি পণ্য এটাকে জোর করে উৎপাদন করার সুযোগ নেই। হয় উৎপাদন, না হয় বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে।
[৮] আমদানির কারণে ডিম ও আলুর দাম কমছেÑ এমন দাবি করে তিনি বলেন, ভারত থেকে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। দেরির কারণ বার্ড ফ্লু পরীক্ষা। সেই সমস্যা মিটেছে। এখন ডিম আসতে থাকবে। সব মিলিয়ে ২০ কোটি পিস আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। [৯] বাণিজ্য সচিব বলেন, এটা ঠিক মূল্যস্ফীতির যে হিসাব করা হয়, সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় যে পণ্যগুলো, সেগুলোর কিন্তু ওয়েটেজটা বেশি। যেহেতু এখানে ওয়েটেজ বেশি সেহেতু অক্টোবরে কয়েকটা পণ্যের দাম বেশি হয়ে গেছে, বিশেষ করে পেঁয়াজ, আলু ও ডিম।
[১০] এটা শুধু আমাদের কারণে নয়। এ বছর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এরপরও যে রপ্তানি মূল্য ভারত নির্ধারণ করেছে তাতে কেজি প্রতি ১৩০ টাকা ওপরে।
[১১] অন্যদিকে আলুটা যেমন আমদানি বন্ধ ছিল, এখন আমরা ওপেন (আমদানি) করে দিয়েছি। তো অনেকগুলো বিষয় এখানে সম্পৃক্ত।
[১২] এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কৃষি পণ্যের ক্ষেত্রে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, যেমন আলু কেউ যদি মজুত করে রাখে এবং সেটা যদি সে পচিয়ে ফেলে তাহলে ব্যবসায়ীর কোন লাভ আছে? লাভ তো নাই।
[১৩] সুতরাং আমার যেটি মনে হয়, এ ধরনের পচনশীল পণ্য যেগুলোর যখন দাম বাড়ে আমাদের দেখতে হবে যে, সরবরাহে সমস্যা আছে কি না কিংবা হঠাৎ কোনো কারণে চাহিদাও বাড়তে পারে।