আমিনুল ইসলাম:[১] তৈরি পোশাকশ্রমিকদের নতুন ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নে ক্রেতাদের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনকে (এএএফএ) পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করেছে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
[২] গত ৮ নভেম্বর এএএফএর সভাপতি স্টিভেন ল্যামারের উদ্দেশে লেখা ওই চিঠিতে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান জানান, বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়ানো হয়েছে। আশা করছি ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে।
[৩] চিঠিতে ফারুক হাসান বলেন, দেশের পোশাকমালিকেরা নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করবেন। সে জন্য ক্রেতাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে যেসব পণ্য জাহাজিকরণ করা হবে, নতুন মজুরির আলোকে তার মূল্য সমন্বয় করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া এখন থেকে যত ব্যবসায়িক চুক্তি করা হবে, তা এই নতুন ন্যূনতম মজুরির সাপেক্ষে করতে হবে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি।
[৪] চিঠিতে জানানো হয়, পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ টাকা বা ১১৩ দশমিক ৬৩ মার্কিন ডলার। শ্রমিকদের মোট মজুরি বেড়েছে ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। এবার শ্রমিকদের মূল মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে মোট মজুরির ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। ফলে শ্রমিকদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়বে।