মো. আখতারুজ্জামান : [১] কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার ৩টি পোশাক কারখানা বাদে সোমবার সকল পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। কারখানাগুলোতে স্বাভাবিকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।
[২] সোমবার বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসানের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার উপরোল্লেখিত ৩টি পোশাক কারখানার শ্রমিক ভাইবোনদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ৩টি কারখানার শ্রমিক ভাইবোনরা কাজ করতে চাইলে কারখানাগুলো খুলে দেয়া হবে।
[৩] আশুলিয়া এবং মিরপুরের প্রায় ৯৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ আছে। এই কারখানাগুলোতেও আলোচনা চলছে। শ্রমিক ভাইবোনরা কাজ করতে চাইলে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারখানাগুলো খুলে দেয়া হবে।
এছাড়া পোশাক শিল্প অষ্যুষিত অন্যান্য এলাকাসমূহ, যেমন, টঙ্গী, গাজীপুর, শ্রিপুর, মাওনা, ময়মনসিংহ, সাভার, ইপিজেড, নারায়ননগঞ্জ, ডিএমপি, চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকাগুলোর সকল পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে এবং সুষ্ঠু শ্রম পরিস্থিতি বজায় আছে।
[৪] তিনি আরও বলা হয়, দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে, ৪৪ শ্রমিকের শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাত, পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে কারখানাগুলো খোলা রাখার ব্যাপারে ইতিবাচক জনমত প্রচার করে গনমাধ্যমগুলো শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছে। বিজিএমইএ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছে যে, পোশাক শিল্পের বর্তমান পর্যায়ে আসার পেছনে গনমাধ্যমের অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে।
[৫] বিজিএমইএ বিশ্বাস করে, পোশাক শিল্পে সুষ্ঠু শ্রম পরিস্থিতি বজায় রেখে শিল্পকে আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে শ্রমিক ভাইবোন, শ্রমিক সংগঠন, সরকার, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন, শিল্প পুলিশসহ সকল আইন-শৃংঙ্লাবাহিনী এবং স্থানীয় জনসাধারণ সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতা রয়েছে। সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে শিল্পের প্রতি সহমর্মিতা আর একাত্মতা পোষণ করে শিল্পে সহযোগিতা প্রদান করে শিল্পকে সচল রেখেছেন।