
[১]ইউরোপে বৃহত্তম কর ফাঁকির মামলায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ধনকুবের

বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] ব্রিটিশ নাগরিক সঞ্জয় এবং তার সহযোগীরা ব্যবসার লভ্যাংশ লুকিয়ে কর ফেরত নিয়ে ইউরোপের একাধিক দেশে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কয়েক কোটি পাউন্ড হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
[৩] ইউরোপের ইতিহাসে বৃহত্তম কর ফাঁকির মামলায় নাম জড়াল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ধনকুবের সঞ্জয় শাহের নাম। আর্থিক লেনদেন বিষয়ক ওয়েবসাইট দিস ইজ মানি জানাচ্ছে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কয়েক হাজার অভিযুক্তের নাম উঠেছে ব্যাঙ্কের কর ফাঁকি সংক্রান্ত এই মামলায়। কাম এক্স নামে পরিচিত এই জালিয়াতিকাÐে শুধুমাত্র লন্ডনেই অভিযুক্তের সংখ্যা প্রায় দু’হাজার!
[৪] ব্রিটিশ নাগরিক সঞ্জয় এবং তার সহযোগীরা ব্যবসার লভ্যাংশ লুকিয়ে কর ফেরত নিয়ে জালিয়াতি করে ব্রিটেন, বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স এবং ডেনমার্কের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কয়েক কোটি পাউন্ড হাতিয়ে নিয়েছেন বলে বছর দু’য়েক আগেই অভিযোগ উঠেছিল। এর পরে অভিযুক্ত ওই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী সাজা এড়াতে দুবাইতে আশ্রয় নেন বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ব্যাঙ্ক কর ফাঁকির মোট অঙ্ক প্রকাশিত হয়নি। তবে শুধু জার্মানিতেই কর ফাঁকির অঙ্ক আনুমানিক হাজার কোটি পাউন্ড (প্রায় ১০ লক্ষ ২ হাজার কোটি টাকা) বলে একটি রিপোর্টে অভিযোগ তুলে হয়েছে।
[৫] সঞ্জয়ের জন্ম ১৯৭০ সালে লন্ডনে। লন্ডনের কিংস কলেজে তিনি মেডিক্যাল কোর্সে ভর্তি হন। কিন্তু মাঝপথে তিনি সে পাঠ ছেড়ে দেন। পরে তিনি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হয়েছিলেন। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি সফল ব্যাঙ্কার হিসেবে কাজ করার পরে ২০০৮ সালে আর্থিক মন্দা পরিস্থিতিতে তিনি কর্মহীন হয়ে পড়েন। তার পরেই গুজরাতি বংশোদ্ভূত সঞ্জয় নিজের বিনিয়োগ সংস্থা গড়ে তুলেছিলেন। আর বিশ্বজুড়ে ব্যবসা প্রসারিত করার পাশপাশি তিনি জড়িয়ে পড়তে থাকেন বিতর্কের জালে।
[৬] যদিও সঞ্জয় এর আগে দুবাইয়ে বসে সব অভিযোগ খারিজ করেন। তার দাবি, তার সংস্থা শুধুমাত্র বিনিয়োগকারীদের দ্রæত শেয়ার বিক্রি করতে সাহায্য করেছে।
